জুমবাংলা ডেস্ক : বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জার বক্তব্যকে মিথ্যা-বানোয়াট বলে এর প্রতিবাদ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচনী প্রচারণা শেষদিনে উপজেলা চত্বরের সামনে সমাবেশে বক্তব্যে এ প্রতিবাদ করেন তিনি।
কামাল বলেন, বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা সাহস করে সত্য কথা বলেন বললেও উনি সাহস করে মিথ্যা কথা বলাতেই অভ্যস্ত। একজন দায়িত্ববান লোক হয়েও তিনি কীভাবে বলতে পারলেন তার দল আওয়ামী লীগের এমপিরা তাকে হারানোর জন্য বিএনপি মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য এক কোটি টাকা দিয়েছেন। সাহসী সত্য বচনের লোক এ মিথ্যা বচন প্রচার করে তার নিজের দুর্বলতাই প্রকাশ করছেন। নিজেদের দলীয় কোন্দল, দলাদলি, মদ, জুয়া, নারী, টেন্ডার-নিয়োগ বাণিজ্য লুটপাটের সব কিছু তিনি ফাঁস করে দিয়ে নিজেই এখন বেকায়দায় পড়ে সত্য কথা না বলে মিথ্যা কথা বলেই নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, আবদুল কাদের মির্জা যে এক কোটি টাকার কথা বলেছেন, তা তিনি প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে চলে যাব। আর তার মিথ্যাচারের বিচারের দায়ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমরাও সাহস করে সত্য করে বলতে চাই, ১৬ তারিখ ভোর থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করে আমাদের পক্ষে ফলাফল নিয়ে আসব।
কামাল উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, সব প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনারও তাদের। প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন। সত্য কথা বলার দাবিদার মির্জা নিয়োগ করাদের কপালে কি জামায়াত-বিএনপি লেখা দেখেছেন?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জিয়াউল হক জিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ মাহমুদুর রহমান রিপন, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
উল্লেখ্য, দুদিন আগে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেন, তাকে হারানোর জন্য নোয়াখালী ও ফেনীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নিজাম হাজারি বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তার শেষ নির্বাচনী সমাবেশে এক কোটি টাকা দেয়ার কথা বলে বক্তব্য দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।