আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কানাডার ইতিহাসে এই প্রথম অশ্বেতাঙ্গ কোনো ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন। খবর ডয়চে ভেলে’র।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইট করে জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা। কানাডার সুপ্রিম কোর্টের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম অশ্বেতাঙ্গ কোনো ব্যক্তি বিচারপতি হিসেবে নিয়োজিত হলেন। বিচারপতির নাম মাহমুদ জামাল। জামালের বাবা-মা ভারতীয়। তবে জামালের জন্ম হয়েছে নাইরোবিতে। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানেই পড়াশোনা করেন। যুক্তরাজ্য থেকে কানাডায় যান জামাল। সেখানে বিখ্যাত দুই আইন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ৩৫টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অংশ নিয়েছেন জামাল। তার এই নিয়োগকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন ট্রুডো। জানিয়েছেন, এ ভাবেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তার সরকার।
এখনো নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ধাপ বাকি আছে। ক্যানাডার হাউস অফ কমনস ট্রুডোর নিয়োগকে বৈধতা দেবে। তবে হাউস অফ কমনসের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, এটা নিছকই এক রীতি। নিয়োগ কোনোভাবেই আটকাবে না।
কানাডায় প্রতি চার জনে একজন অশ্বেতাঙ্গ। কৃষ্ণাঙ্গ অথবা এশিয়ার মানুষ। অথচ এতদিন ধরে কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একজনও সংখ্যালঘু বর্ণের বিচারপতি ছিলেন না। বিষয়টি অনেক সময়ই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কানাডার নাগরিকরা। কিন্তু সমাধান হয়নি। এতদিনে পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এক বছর আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, বেড়ে চলা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সামাজিক সাম্য তৈরির চেষ্টা হবে। জামালের নিয়োগ তারই অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।