স্পোর্টস ডেস্ক: নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের মিশন নিয়েই কাতারে পা রাখে ব্রাজিল। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় সেলেসাওদের। এক্সট্রা টাইমে গোল করেও দলকে জেতাতে পারেননি নেইমার জুনিয়র। ম্যাচ শেষে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয়।
জাতীয় দলকে জেতাতে না পারলেও এদিন অনন্য ইতিহাস লিখেছেন নেইমার। দেশের জার্সিতে ১২৪ ম্যাচ খেলে ফুটবল রাজা পেলের ৭৭ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। অথচ স্বদেশী কিংবদন্তিকে স্পর্শ করার দিনে কেঁদে বুক ভাসাতে হলো তাকে।
ক্রোয়েশিয়ার কাছে পরাজয়ের পর শনিবার (১০ ডিসেম্বর) নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি দিয়ে নেইমার লেখেন, আমি মানসিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছি। এই পরাজয় আমাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে। ম্যাচ শেষে আমি অবিরাম কান্না করেছি প্রায় ১০ মিনিটের মতো। দুর্ভাগ্যবশত, এটি আমাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আঘাত করেছে।
তিনি লেখেন, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। আমি আমার সতীর্থদের জন্য গর্বিত। কারণ তাদের মধ্যে প্রতিশ্রুতি এবং উৎসর্গের অভাব ছিল না। দলটির এটি প্রাপ্য ছিল (জয়)। আমরা এটার প্রাপ্য ছিলাম। ব্রাজিলও এটার প্রাপ্য ছিল। কিন্তু ঈশ্বর তা চাননি।
৩০ বছর বয়সী ফুটবলার বলেন, মাঠের ভেতরের প্রত্যেকের ত্যাগ ও স্নেহ অনুভব করেছি। আমাদের সমর্থন দেয়ার জন্য এবং জাতীয় দলের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। দুর্ভাগ্যবশত আমরা কাজটি করতে পারেনি। এটি দীর্ঘ, দীর্ঘ সময় আঘাত করে যাবে।
তিনি বলেন, ঈশ্বর, সবকিছুর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি আমাকে সবকিছু দিয়েছেন। তাই আমার কোনো অভিযোগ নেই। শুধু আমাকে দেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সব সম্মান এবং গৌরব সবসময় আপনার জন্য।
নেইমারের ওই আবেগী স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেন ফুটবল সম্রাট পেলে এবং ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা কাকা। পেলে কমেন্টে লেখেন, উৎসাহের সঙ্গে চালিয়ে যাও।
ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের তারকা কাকা লেখেন, ঈশ্বর তোমার সঙ্গে আছে। সঙ্গে আমরাও রয়েছি। তোমার এ নৈপূণ্য চালিয়ে যাও। আমরা এটাকে উপভোগ করতে চাই। আমি তোমার সৌন্দর্যকে ভালোবাসি।
এর আগে পেলে নেইমারকে নিয়ে তার ইনস্টাগ্রামে লেখেন, আমি তোমাকে বড় হতে দেখেছি নেইমার। প্রতিদিন তোমার জন্য গলা ফাটাই। তুমি ব্রাজিলের হয়ে গোল করায় আমাকে স্পর্শ করেছো। শেষ পর্যন্ত আমি তোমাকে শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ পেলাম। আমরা দুজনই জানি, এ কীর্তি পরিসংখ্যানের চেয়েও অনেক কিছু।
তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় কর্তব্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করা। সতীর্থদেরও সাহস জোগানো। পরবর্তী প্রজন্ম এবং সর্বোপরি যারা এই খেলাটাকে ভালোবাসে, তাদের পাশে থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা আমাদের খুশির দিন নয়। ৫০ বছর আগে এ রেকর্ড করেছিলাম আমি। এতদিন কেউ এর ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারেনি। তুমি পারলে। দেখিয়ে দিলে কত বড় এই কৃতিত্ব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।