জুমবাংলা ডেস্ক : বাকপ্রতিবন্ধী ছেলেটি গুরুতর অসুস্থ। মা ফাহিমা খাতুন তাকে দেখতে পাবনা গিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আহত হন। ডান হাতে লেগেছে ১৮টি সেলাই। ছুটির নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কাজীপুর ফ্যাশন্স লিমিটেডে তার ঊর্ধ্বতনকে নিজের অসুস্থতার কথা জানালে গালাগাল করে তাকে বাদ দিয়ে দেন।
এরপর তিনি নিজের চিকিৎসা করিয়ে গতকাল সোমবার ফের কারখানায় গিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি চান। তবে
কর্র্তৃপক্ষ তাকে সেই অনুমতি না দিয়ে সবার সামনে ফের গালাগাল করে। সেই অপমান সইতে না পেরে ৭তলার ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাহিমা। এ সময় ঘটনাস্থলে ওই নারী শ্রমিক মারা গেলেও কারখানা কর্র্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়।
গতকাল দুপুরে সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কাজীপুর ফ্যাশন্স লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী শ্রমিকের নাম ফাহিমা খাতুন (২৮)। তিনি পাবনা জেলার সদর থানা এলাকার তারাবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
তৈরি পোশাক শ্রমিক স্বামীর সঙ্গে কলমা এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে থেকে তিন বছর ধরে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কাজীপুর ফ্যাশন্স লিমিটেড কারখানার ষষ্ঠ তলার ফিনিশিং শাখায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন ফাহিমা। নিহতের স্বামী মিরাজুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি কারখানায় ছুটে যাই। কিন্তু সেখানে তাকে না পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে খোঁজ করি। কারখানার ব্যবস্থাপক মো. রেদুয়ানুল হক বলেন, ফাহিমা কয়েক দিন ছুটিতে ছিলেন। আমাদের নিয়ম হলো মেডিকেল থেকে রিপোর্ট নিয়ে এসে কাজে যোগ দিতে হবে। কিন্তু তিনি এটি না করে সরাসরি কাজে যোগ দিতে আসেন। পরে শুনতে পেয়েছি ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, নিহত পোশাক শ্রমিককে কারখানা কর্র্তৃপক্ষ গালিগালাজ করেছে বলে আমরাও শুনেছি। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি দুর্ঘটনা নয় বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।