জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পঞ্চম দফায় ছুটিতে রয়েছে বাংলাদেশ। এবারের আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির সঙ্গে নতুন কিছু নির্দেশনা জারি করেছে।
গত ২২ এপ্রিল (বুধবার) সরকারি আদেশে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। একই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, কোন কোন অফিস কোন শর্তে খোলা থাকবে এবং দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কে বা কারা ঘর থেকে বেরুতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর আজ রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা চালু হয়েছে । কিন্তু যেসব কারখানা খোলা হয়েছে তার অনেকগুলিতেই শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রফতানিমুখী শিল্পসহ সকল কারখানা কতুপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘যেসব কারখানা খোলা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে শ্রমিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষের পাশাপাশি শ্রমিকদেরকেও সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছুই নয়।’
জানা গেছে, পোশাকশিল্পের ৮৬৫টি কারখানা খুলে দেয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। এই খাতে এ পর্যন্ত তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্ডার বাতিল হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এবার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পঞ্চম দফায় ছুটি বাড়ল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।