কার্যকর পদ্ধতিতে করুন স্কিন ফাস্টিং

স্কিন ফাস্টিং

অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে ত্বকের আরও ক্ষতি হয়। তাই মাঝে মাঝে স্কিন ফাস্টিং করা ভালো। ত্বক ভালো রাখার জন্য বা নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য প্রায়শই আমরা ত্বকে নানা প্রসাধনী ব্যবহার করি। কিন্তু এসব পণ্যে কি আদৌ ত্বকের সুরক্ষা হচ্ছে? ত্বক সুরক্ষিত রাখার জন্য পণ্য ব্যবহারের কথা বললেও কখনো কখনো অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে উল্টো ত্বকের আরও ক্ষতি হয়। তাই মাঝে মাঝে স্কিন ফাস্টিং করা ভালো।

স্কিন ফাস্টিং

ত্বকের সৌন্দর্য শুধু প্রসাধনী ব্যবহারের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে না। আর্দ্রতা বজায় রাখা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুম, দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্ট্রেস রিলিফ টেকনিক মেনে চলা সবই জরুরি এ জন্য। সেই সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।এরপর যদি কখনো যেমন ত্বক চান তেমন কেন পাচ্ছেন না এসব নিয়ে ভাবনা হয়, তাহলে স্কিন ফাস্টিং শুরু করুন। ত্বককেও শ্বাস নিতে দিন। মাঝে মাঝে কম যত্নও ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।

আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা চকচকে ত্বক পাওয়ার জন্য একের পর এক সিরাম ও ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে কখনো কখনো এটা হিতে বিপরীত হতে পারে। সার্টিফায়েড কসমেটোলজিস্ট প্রিয়াংকা ওয়াধওয়ানি বলেন, অতিরিক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার, বিশেষ করে AHA, BHA, রেটিনয়েডের মতো অ্যাকটিভ উপাদানগুলো স্কিন ব্যারিয়ারকে নষ্ট করে দিতে পারে এবং বাড়াতে পারে ত্বকের সংবেদনশীলতা।

আমাদের ত্বক থেকে প্রাকৃতিকভাবেই সিবাম নিঃসৃত হয়, যা ত্বকের আর্দ্রতা এবং সুরক্ষা বজায় জন্য জরুরি। বারবার এক্সফোলিয়েশন করলে ন্যাচারাল ময়েশ্চার ধুয়ে যায়। তাই মাঝে মাঝে স্কিন ফাস্টিং করা অর্থাৎ সকল ধরনের স্কিনকেয়ার থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে ত্বকের অণুজীবের ভারসাম্য হয়।

লেস ইজ মোর এই কনসেপ্ট মেনে চলেন ওয়ামিকা। ত্বককে পুণর্জীবিত করতে ২ থেকে ৩ দিন বিরতি দিয়ে আবারও বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার শুরু করেন তিনি। এতে কিন্তু ত্বককে এড়িয়ে চলা হয় ব্যাপারটি এমন নয়। পানি দিয়ে মুখ ধোয়া এবং ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার অবশ্য বন্ধ না করার পরামর্শ দেন তিনি।

ত্বকের সৌন্দর্য শুধু প্রসাধনী ব্যবহারের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে না। আর্দ্রতা বজায় রাখা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুম, দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্ট্রেস রিলিফ টেকনিক মেনে চলা সবই জরুরি এ জন্য। সেই সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এরপর যদি কখনো যেমন ত্বক চান তেমন কেন পাচ্ছেন না এসব নিয়ে ভাবনা হয়, তাহলে স্কিন ফাস্টিং শুরু করুন। ত্বককেও শ্বাস নিতে দিন। মাঝে মাঝে কম যত্নও ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।