আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ওপর কঠোর কড়াকড়ি আরোপ এবং সেখানকার রাজনৈতিক নেতা ও মানুষদের গ্রেফতার ও আটকাবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট।
এনডিটিভি জানায়, কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্মতি গ্রহণ এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ভারতের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, মার্কিন সরকার কাশ্মীরের মানবাধিকারের বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে ভারতের কাছে উত্থাপন করছে।
এ ছাড়া আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ রোধ, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতিশীলতা এবং শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনায় আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি সরকার। এর আগের দিন থেকে জম্মু-কাশ্মীরে কঠোর সামরিক নিরাপত্তা জারি করা হয়।
কারফিউ জারি করে ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে অঞ্চলটির সঙ্গে পুরো বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
২৫ দিন পর শুধু জম্মুর আলাদা আলাদা পাঁচটি জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং মোবাইল ইন্টারনেট সার্ভিস খুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন দাবি করছে, অঞ্চলটিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং কাশ্মীরে ১১১টি পুলিশ স্টেশনের ৮১টি দিনের বেলায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি ভারতের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে কাশ্মীরের মানুষ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। গত ২৫ দিনে অন্তত ৫০০ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
এতে পুলিশ বাহিনীর ৩০০ এবং আধা সামরিক বাহিনীর ১০০ এর অধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। পুলিশের প্রতি পাথর ছোড়ার অভিযোগে ১৩৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৫ আগস্টের আগের দিন থেকে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ এখন পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যটিতে। কারাগারের স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দিদের পাঠানো হচ্ছে অন্যান্য রাজ্যের কারাগারগুলোতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।