আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের জম্মু-কাশ্মীর ঘিরে চরম উত্তেজনা চলছে। সেখানে কী ঘটছে কাশ্মীরে, কেউ জানে না। জম্মু–কাশ্মীর পিপল্স মুভমেন্ট পার্টির নেতা শাহ ফয়জল এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, গোটা কাশ্মীর যেন ’তালাবন্ধ’। জম্মু-কাশ্মীরের ৮০ লাখ মানুষই এখন ‘বন্দি’।
শাহ ফয়জল ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, এরকমটা আগে কখনোই দেখা যায়নি। জিরো ব্রিজ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত তবু কিছু গাড়ি চোখে পড়ছে। অন্য সব রাস্তা শুনশান নীরবতা। রোগীরা কিংবা যাদের কার্ফু পাস রয়েছে, তারাই কেবল রাস্তায় বেরোতে পারছেন। লালদেড় হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। আশঙ্কার জেরে অনেকে আগেই ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের কাছে কেউ কেউ লঙ্গর খোলার কথা ভাবছেন। বাকি জেলাগুলি কার্ফুর ঘেরাটোপে ঢাকা।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন আইএএস অফিসার তথা জম্মু–কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট পার্টির নেতা শাহ ফয়জল।
গত কয়েক দিন কড়া নিরাপত্তার ঘেরোটোপে ঢাকা জম্মু–কাশ্মীর। কার্যত উপত্যকা জুড়ে চলছে ব্ল্যাকআউট। সেখানে কাজ করছে হাতে গোনা কয়েকটি মোবাইল ফোন। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। বিভিন্ন এলাকায় জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে উপত্যকার কোনও খবর পৌঁছোচ্ছে না গোটা দেশের কাছে। এমনই পরিস্থিতিতে সেখানকার পরিস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে কাশ্মীরের এই রাজনীতিকের ফেসবুক পোস্ট থেকে।
ফয়জল লিখেছেন, যাদের ডিশ টিভি রয়েছে তারা খবর দেখতে পাচ্ছেন। কেবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ঠিক কী ঘটেছে কাশ্মীরে, তা নিয়ে অনেকেরই ধারণা এখনও পর্যন্ত ঝাপসা। কয়েক ঘণ্টা আগেও কাজ করছিল রেডিও। বেশিরভাগ মানুষ দূরদর্শন দেখছেন। তবে জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে খবর সংগ্রহে প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সাবেক মুখমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। সোমবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি, পিপল্স কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোনের কাছে পৌঁছোনো যাচ্ছে না। তাঁদের কাছে কোনও বার্তাও পাঠানো যাচ্ছে না।
তিনি লিখেছেন, এখনও খাবারদাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে টান পড়েনি। প্রশাসনে আমার সূত্র বলছে, কিছু অফিসারকে স্যাটেলাইট ফোন দেওয়া হয়েছে। তারাই অসামরিক সরবরাহের দিকটা দেখছেন। তবে যোগাযোগের আর অন্য কোনও সূত্রই নেই। কোনোক্রমে বিন্দু–বিন্দু খবর চুঁইয়ে এসে পৌঁছোচ্ছে। সূত্র : আজকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।