জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা গোটা দেশকে ক্রিমিনাল স্টেটে পরিণত করেছেন। তিনি যে সরকার পরিচালনা করছেন সেটা হচ্ছে অপরাধীদের সরকার।’
বিএনপির গণসমাবেশে সরকারের বাধা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘নানা রকম প্রতিবন্ধকতা বাধা পেরিয়ে গতকাল থেকেই রংপুরের গণসমাবেশে জনতার ঢল নেমে পড়েছে। মানুষের যেন স্বতঃস্ফূর্ত উৎসবে পরিণত হয়েছে রংপুর মহানগর। বিভিন্ন জেলা উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ড থেকে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রংপুরে মিলিত হয়েছে। তারা শুকনা খাবার রুটি-চিড়া নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়েছেন এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।’
রিজভী বলেন, ‘জনতার এ স্রোত দেখে বিচলিত বোধ করছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তার চেলা চামুণ্ডারা, মন্ত্রিসভার কিছু সিনিয়র সদস্য। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রবিরোধী কথাই বলছে না, বিভিন্নভাবে হুমকিও দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনে মনে হচ্ছে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন। গত দুদিন আগে নারায়ণগঞ্জে ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিয়েছেন।’
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘আমরা যে বক্তব্য দেই সরকারের গুম, খুন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে, শুধু যে আমরাই দেই তা নয়, বিরোধী দলগুলো এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশ পেয়েছে অভিযোগ করেছে, সমালোচনা করেছে। সেই সমালোচনাগুলো পক্ষান্তরেই ওবায়দুল কাদের বলেছেন। তাতে আমার মনে হয়েছে কিছু দিনের মধ্যেই তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন। শতকরা ৯০ শতাংশ বলছে আর ১০ শতাংশ বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলছে। যেভাবে বলুক না কেনো মনে হয়েছে তিনি বিরোধী দলের কথাগুলোই বলছেন।’
রিজভী বলেন, ‘গত ১৪ বছরে ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে তাদের চিরচেনা সংস্কৃতি, সেটা হলো সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডকে বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল তৈরি করা। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় তারা (আওয়ামী লীগ) দেশে নব্য বাকশাল তৈরি করেছেন। এখানে কথা বলা পাবলিক প্লেসে হোক আর রুমের ভেতরে তার পরিণতি হচ্ছে গুম হয়ে যাওয়া অথবা জেলে যাওয়া। এই যে অন্যায় অবিচার তারা করছেন।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আজকের সমাবেশে লোকে লোকারণ্য। শুধু সমাবেশ স্থলে নয়, রংপুর শহরে উৎসবের আমেজ পরিণত হয়েছে। এটার মধ্য দিয়ে দুইটা জিনিস সুস্পষ্ট হচ্ছে, বিএনপি জনগণের জন্য যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে জনগণের সমর্থন। আরেকটা হচ্ছে, দেশের জনগণ ইঙ্গিত দিচ্ছে আগামীতে এই অবৈধ সরকারের পতনের আন্দোলনে জনগণের যে সমর্থন থাকবে ও অংশ নেবে। সেটাই সুস্পষ্ট হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আলী আকবর চুন্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।