জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জে এবার তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ।
মো. চাঁন মিয়া নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার পুলিশের এসআই (নিঃ) পদে কর্মরত আছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার নন্দীবাড়ি গ্রামের মো. নায়েব আলীর ছেলে।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, চাঁন মিয়ার প্রথম দিকে জ্বর হলে ভৈরবের স্থানীয় একটি ফার্মেমি থেকে ওষুধ কিনেন। এরপর গত (৯ এপ্রিল) হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গেলে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। গত (১০ এপ্রিল) তার শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে। তারপর ওইদিন বিকেলেই আইসোলেশনের জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, যে ফার্মেসি থেকে তিনি ওষুধ কিনেছিলেন সেখান থেকেই তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পরপর দুটি নমুনা পরীক্ষায় চাঁন মিয়ার কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে হাসপাতাল থেকে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া, ভৈরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও চাঁন মিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শীগগিরি আরো কয়েকজন করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে নিজ কর্মস্থলে ফিরে আসবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) ও সোমবার (২৭ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জে আরো দুইজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এছাড়া, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ২৬ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী ভর্তি রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



