জুমবাংলা ডেস্ক : সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের কামালিয়ারচর এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কে মাত্র ১০০ গজ সড়কে শুক্রবার ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে।
এসব দুর্ঘটনায় ২ জন নিহতসহ অন্তত ৩২ গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে ওই তিনটি দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী বলছে, পার্শ্ববর্তী ইটভাটাতে মাটি নেয়ার সময় রাস্তায় পড়ে থাকা এঁটেল মাটি বৃষ্টি পড়ে এটুকু সড়ক কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে ওঠায় শুক্রবার পরপর তিনটি যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
এলাকাবাসীর পোস্ট করা কর্দমাক্ত সড়ক ও দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠেছে।
হাইওয়ে পুলিশও এ কর্দমাক্ত রাস্তা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে বলে স্বীকার করেছে। এলাকাবাসী, হাইওয়ে ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বিশাল পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি নাইট কোচ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কামালিয়ার চর এলাকার এ কর্দমাক্ত রাস্তা অতিক্রমকালে পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
এ দুর্ঘটনায় এক নারীসহ ২ জন নিহত এবং ১৭ যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ দুর্ঘটনায় নিহতেরা হলেন, সিলেট জেলার কানাইঘাটের ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী (৬০) এবং ময়মনসিংহ সদরের অধিবাসী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ নার্স জিনাত খানম (৪৫)।
পরে সকাল পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজ চলার একটি মালবাহী ট্রাক এসে ব্রেক কষলে কর্দমাক্ত এ রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
এ দু’টি ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সকাল ৯ টার দিকে আগের দুর্ঘটনাস্হলের ১০০ গজের মধ্যে ঢাকাগামী যাতায়াত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস এবং ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা একটি তেলবাহী লরি ক্রসিং এর সময় স্লিপ কেটে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় হয়।
এ দুর্ঘটনায় বাস ও লরি দু’টি ছিটকে খাদে পড়ে গিয়ে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয় ।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট ডিএম জহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনিও কর্দমাক্ত রাস্তা, বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা এসব দুর্ঘটনার কারণ বলে জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।