জুমবাংলা ডেস্ক : মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ১ নম্বর ফেরিঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছিল সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত স্কুলছাত্র বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স। ভিআইপিদের গাড়ির জন্যই মূলত ছেলেটি মস্তিস্কের রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যায়। এ বিষয় নিয়ে আজ সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে নিজের ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:-
‘তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে ওঠে অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় ওই স্কুলছাত্র।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে সরকারী কর্মকর্তারা হচ্ছে জনগনের সেবক। সংবিধানের ২১ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য’। আর সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে জনগন হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিক। সেবকের স্থান কিভাবে মালিকের উপরে হয়? সেবকরা কিভাবে ভিআইপি হয়?
একজন সেবকের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দেরী করতে গিয়ে কেন প্রাণ যাবে একজন শিশুর? মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক, যুগ্ম সচিব আর ফেরী ঘাটের সব সরকারী লোকজন মিলে একটি নরহত্যা করেছেন। কারণ যে কোন সাধারন বিবেচনাসম্পন্ন মানুষের জানার কথা যে ফেরীঘাটে অসুস্থ বা আহত মানুষ বা বৃদ্ধ কেউ থাকতে পারে, দেরী হলে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
যদি নূন্যতম ন্যায়বিচার থাকে এদেশে, আমরা এদের বিচারের মুখোমুখি হতে দেখবো। দেখবো এসব ভিআইপি ব্যবস্থা যে অসাংবিধানিক সে সম্পর্কে ঘোষনা।
তিতাসের পিতামাতার জন্য গভীর সমবেদনা। জানিনা, এ শিশুর মৃত্যুর পরও লজ্জা হবে কিনা ভিআইপি নামধারী এসব অমানুষের!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।