জুমবাংলা ডেস্ক : কিস্তির চাপ সইতে না পেরে বগুড়ায় বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবনের ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পর ছয় বছরের শিশু কন্যা মেঘলা আক্তারও মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ। এর আগে বুধবার দুপুরে তার মা বুলবুলি খাতুনের (২০) মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোকুলের নওদাবগা এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মহিদুল ইসলাম দিনু (২৬) শ্রমিকের কাজ করতো। করোনার কারণে মহিদুল ঠিকমতো কাজ পাচ্ছিলো না। তখন সে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ীতে মুদি দোকান দেয়। কিন্তু দোকানের বেচা-কেনাও ঠিকমতো হচ্ছিলো না। এদিকে এনজিও থেকে কিস্তির জন্য চাপ দিতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে মহিদুল ইসলাম ও তার তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বুলবলি বেগম এবং একমাত্র শিশু কন্যা মেঘনাসহ এই তিনজন আত্মহত্যার জন্য গ্যাস টেবলেট সেবন করে। বিষয়টি প্রতিবেশিরা টেরপেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধনীন অবস্থায় বুধবার বিকাল তিনটার দিকে বুলুবুলি বেগমের মুত্যু এবং বৃহস্পতিবার সকালে একমাত্র কন্যাও মারা যায়।
মহিদুল ইসলাম দিনুর মা মর্জিনা বেগম জানান, হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে তার ছেলে ও নাতনি। তিনি আরো জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় এনজিওর লোকজন প্রচন্ড চাপ দিতে থাকে। তাদের চাপ সইতে না পেরে মহিদুল স্ত্রী সন্তান নিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য গ্যাস টেবলেট সেবন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।