জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গ্রাহকসহ তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) নামে একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার বিরুদ্ধে। আহতরা কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার দাউদিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিধবা মোমেনা বেগম ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গাক এনজিও’র কালাই শাখা থেকে ২৬ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করে আসলেও শনিবার নির্ধারিত দিনে তারা সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে ব্যর্থ হন। এ ঘটনায় ওই দিনই রাত ৮টার দিকে গাক’র শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল ওহাবের নেতৃত্বে মোমেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে তারা হামলা চালায়।
এ সময় তাদের হামলায় মোমেনা বেগম, ছেলে রহেদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনিশা বেগম আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা শেষে শনিবার দুপুরে ৩জনের মধ্যে রহেদুল ও তার স্ত্রীকে ছাড়পত্র দেয়।
এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন জানান, শারীরিক অ্যাসাল্ট নিয়ে শনিবার রাতে ৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে মোটামুটি ভালো অবস্থায় থাকা দুজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকী একজনকে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এনজিও’র কালাই শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল ওহাব বলেন, দিনের বেলায় কিস্তির টাকা দিতে না পারলে রাতে তাদের বাসায় যাওয়া হয়। ওই সময় তারা আমাদের ওপড় চড়াও হলে নিজেদের মারপিটেই তারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোবারক হোসেন বলেন, কোনো এনজিও রাতের বেলা কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে কারো বাসা-বাড়িতে যাওয়ার নিয়ম নাই। এছাড়াও কিস্তি না পেয়ে গ্রাহককে মারপিট করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিষয়টি খুব দ্রুত খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রসঙ্গত, বগুড়ার এই গাক এনজিওটি জয়পুরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় মোট ৫টি শাখার মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সূত্র : সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।