স্পোর্টস ডেস্ক : এক পাশের ব্যাটসম্যানরা ডট বল চাপ বাড়িয়েছেন, মারতে গিয়ে টপাটপ পড়ছে উইকেটও। শেষ দুই ওভারে জেতার জন্য ৩১ রান দরকার দাঁড়ায় রাজশাহী রয়্যালসের। চার-ছয়ের তাণ্ডবে ওই রান তুলতে আন্দ্রে রাসেলের লাগল কেবল আর ৮ বল। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য দুনিয়া জুড়া নাম ডাক তার। আরও একবার ঝলক দেখিয়ে ম্যাচ শেষে জানালেন অমন ইনিংসের আগে কিছু ফলমূল আর ডাবের পানি খেয়ে নেমেছিলেন তিনি।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স করেছিল ১৬৪ রান। নাগালের মধ্যে থাকা ওই লক্ষ্যও এক সময় কঠিন হয়ে যায় রাজশাহীর। মাঝের ওভারে শোয়েব মালিক ডট বলে বাড়িয়ে যান চাপ। ছয়ে নেমে অমন চাপ নিতে ভালোবাসা রাসেল ৭ ছক্কায় খেলেন ২২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে দলকে তুলেন ফাইনালে।
পরিস্থিতি বিচারে দুনিয়ার যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই এমন ইনিংস খেলা অবিশ্বাস্য। কিন্তু রাসেলের ব্যাটিং দেখে মনে হয় তা যেন তুড়ি মেরে এনে ফেলার কাজ। যদিও ম্যাচ শেষে জানালেন সহজ ছিল না তার জন্যও, ‘না আমার জন্যও সহজ ছিল না। একটা মিস টাইম হয়ে গেলেই কিন্তু আউট হয়ে যেতে পারতাম। আমি ফিল্ডিং পজিশনগুলো দেখেছি, চেয়েছি মাঝ ব্যাটে লাগতে যাতে বল বাউন্ডারির ওপারে গিয়ে পড়ে।’
৭ ছক্কার অনেকগুলো বলেই অন্য যে কোরো জন্য সীমানা পার করা হতো দুরূহ। গায়ের জোরে রাসেল তা করেছেন অনায়াসে। অমন শক্তির রসদ হিসেবে ম্যাচের আগে নাকি ফলমূল আর ডাবের পানিই ভরসা তার, ‘বেশি কিছু না (ম্যাচের আগের মেন্যু)। কেবল কিছু ফল খেয়েছি, সেইসঙ্গে ডাবের পানি খেয়েছি।’
নিজের উপর ভরসা তার শতভাগ। কিন্তু ভরসা করতে পারছিলেন না বাকিদের। চলছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। শেষ পর্যন্ত আবু জায়েদ রাহি (২ বলে ৫) দেন সঙ্গে, গড়ে উঠে অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটি। সঙ্গী রাহিকে তাই বিশেষ ধন্যবাদ রাসেলের, ‘অন্য পাশে যেভাবে উইকেট পড়ছে তা নিয়ে আমি ভীত ছিলাম। আমি ভেবেছি এক পাশে থেকে শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে। রাহিকে ধন্যবাদ সে সঙ্গে দিতে পেরেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।