আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের কথিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসান জামিন পেয়েছেন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নানা অভিযোগের ভিত্তিতে রাম রহিমকে গ্রেপ্তার করার পর হরিয়ানার পঞ্চকুলায় ব্যাপক সংঘর্ষের পেছনে হাত ছিল হানিপ্রীতের। দুই বছর জেলে কাটানোর পর অবশেষে আম্বালার এক সিটি কোর্ট তাকে জামিন দিল।
তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ সরিয়ে দেওয়ার পরই জামিনের আবেদন গ্রহণ করে আদালত। ২ বছর আগে অক্টোবর মাসের সেই হিংসার ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ৩০ জনের, আহত হয়েছিলেন ২০০-র বেশি মানুষ।
রাম রহিম সিং ভোগ করছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ২০০২ সালে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুন করার অপরাধে এই সাজা তার।
এছাড়া ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে করা দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। সেই মামলায় ২০ বছরের সাজা খাটছেন তিনি।
রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িকে চিঠি লিখেছিলেন সাধ্বীরা। সেই চিঠি নিজের পত্রিকায় ছাপান সাংবাদিক রামচন্দ্র। ১৭ বছর আগে নিজ বাসভবনের সামনে গুলি করে খুন করা হয় তাকে।
রাম রহিম তার ডেরায় থাকা কমপক্ষে দুই হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে শোনা যায়!
নির্যাতিতাদের দাবি, রাম রহিমের বিলাসবহুল ডেরার ভেতর গোপন গুহা বা যৌন গুহা ছিল। সেই গুহার খোলা জানালা দিয়ে ডেরার মেয়েদের দেখে দেখে পছন্দ করতেন তিনি। তারপর পছন্দের মেয়েকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন। ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হলে মেয়েদের জোর করে গর্ভপাত করাতেন।
ডেরার এ রকম হাজারো মেয়ের গর্ভপাত করানো হয়েছে। প্রথম দিকে পাঞ্জাবের বাথিন্ডার বিভিন্ন এলাকায় গর্ভপাত করানো হতো। পরে রাম রহিম নিজেই তার ডেরার ভেতর হাসপাতাল চালু করে গর্ভপাত করাতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।