জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূর আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. জাহিদুল কবির এ আদেশ দেন।
নূর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের হুমায়ুন কবির উল্লাহর ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পৌর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়া অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে ২০১৪ সালের ৮ অক্টোবর একই ইনস্টিটিউটের ছাত্র নূর আলমের (বর্তমানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী) বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই নূর আলম যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এ ঘটনায় জান্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে চলতি বছরের গত ১৩ জুলাই নূর আলম ও তার বাবা-মাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগের তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চান্দিনা পৌরসভা মেয়রের নিকট প্রেরণ করেন। এতে মেয়র অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ১৬ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে গত ৩১ আগস্ট আদালত প্রকৌশলী নূর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।
মামলার বাদী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বিয়ের পর থেকে নূর আলম যৌতুকের জন্য তাকে কারণে অকারণে অমানবিকভাবে নির্যাতন করতো। তিনি আমাকে গোপনে তালাক দিয়ে সংসার চালিয়ে যান এবং গোপনে অন্যত্র বিয়ে করেন। এ ঘটনা জানার পর আমি আদালতে মামলা দায়ের করি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহজালাল মিয়া শিপন জানান, অভিযুক্ত প্রকৌশলী নূর আলমের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে তিনি হাইকোর্ট থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিনে আসেন। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) তিনি আদালতে হাজির হয়ে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। মামলার শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। সরকারপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান মজুমদার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।