জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে তার এলাকার লোকজন।
মঙ্গলবার সকালে আবরারের লাশ নিজ গ্রাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় পৌঁছালে বিক্ষোভ করতে থাকেন জনতা। আবরারের খুনিদের বিচার দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও আবরারের লাশ দেখতে আসা অনেকে অংশ নেন। পরে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হয় বুয়েটের এই মেধাবি শিক্ষার্থীকে।
এর আগে ভোরে ঢাকা থেকে আবরারের লাশ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হয়। কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের আল-হেরা জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার লাশ নেওয়া হয় কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায়।
সকাল ১০টায় তৃতীয় জানাজা হওয়া কথা থাকলেও লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করায় দাফন করতে কিছুটা দেরি হয়।
রবিবার রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফেসবুকে ভারত বিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশ জানিয়েছে, আবরারের দুই কাঁধের নিচ থেকে হাতের কব্জি পর্যন্ত কালসিটে ছিল। একইভাবে কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ছিল জখমের দাগ।
সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ভোঁতা কিছু দিয়ে মারা হয়েছে। ফরেনসিকের ভাষায় বলে- ব্লান্ট ফোর্সেস ইনজুরি। বাংলা কথায়, ওকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।’
ওই তরুণের হাতে, পায়ে ও পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে এ চিকিৎসক জানান, ‘ইন্টার্নাল রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন নিহতের বাবা বরকতুল্লাহ। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।