বিনোদন ডেস্ক : ছিলেন স্কুল শিক্ষক। এরপরে গড়ে তোলেন ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা। এবার ঝুঁকছেন কৃষি খাতের দিকে। আর কেউ নন, তিনি আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও এশিয়ার সাবেক শীর্ষ ধনী চীনা উদ্যোক্তা জ্যাক মা। সম্প্রতি একটি নতুন এগ্রোটেক কোম্পানিতে তার বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
চীনা সরকারের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত এই চীনা ধনকুবের প্রায় তিন বছর ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। তবে সম্প্রতি তিনি আবার প্রকাশ্যে এসেছেন, হংকং ও টোকিওতে পেয়েছেন শিক্ষকতার সুযোগ। বলে রাখা ভালো, জ্যাক মা’র পেশা জীবনের শুরুটাও হয়েছিল স্কুলে শিক্ষকতার মধ্যে দিয়ে।
এবার খবর এলো, তিনি নামছেন কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবসায়। করপোরেট রেজিস্ট্রি ডেটা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তিয়ানইয়াচার জানিয়েছে, গত ২০ জুলাই ঝেজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হ্যাংঝুতে ‘ওয়ান পয়েন্ট এইট মিটারস মেরিন টেকনোলজি কো’ নামের একটি এগ্রোটেক স্টার্টআপ নিবন্ধন করা হয়েছে। হ্যাংঝুতেই আলিবাবার সদর দফতরও রয়েছে। নতুন এই এগ্রোটেক স্টার্টআপটির নিবন্ধিত মূলধন ১১০ মিলিয়ন ইউয়ান বা ১৫ মিলিয়ন ডলার।
তিয়ানইয়াচার অনুসারে, স্টার্টআপটিতে এই চীনা বিলিয়নিয়ারের ‘হাংগজু ডাজিংটু ২২ নং আর্টস ও কালচার’ কোম্পানির ১০ শতাংশ শেয়ার আছে। এছাড়া এটির নিয়ন্ত্রক শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে হংকং-ভিত্তিক ওয়ান পয়েন্ট এইট মিটারস টেকনোলজি হোল্ডিং লিমিটেডের দখলে। আর ৫ দশমিক ৫ শতাংশে শেয়ারের মালিক হচ্ছে অ্যান্ট গ্রুপের সাবেক প্রধান নির্বাহী সাইমন হুও।
এ বিষয়ে জানতে জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি।
দ্য বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রায় ৩ বছর আত্মগোপনে থাকার পর জ্যাক মা’র এই বিনিয়োগের খরব প্রকাশ্যে এলো। ২০২০ সালের অক্টোবরে এক বক্তৃতায় চীনা আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করেন তিনি। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, চীনা ব্যাংকগুলো এক ধরনের ‘বন্ধকী মানসিকতা’ নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরপরে চীনা নিয়ন্ত্রকরা জ্যাক মা ও তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর ব্যাপক তদন্ত চালায়। যার জের ধরে দেশটির অন্যান্য টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ব্যাপক ক্র্যাকডাউন চালানো হয়।
অনেকের ধারণা, এ তারণেই গত কয়েক বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন তিনি। সে সময়ে তাকে এগ্রোটেক নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্বভ্রমণ করতে দেখা গেছে।
এই চীনা উদ্যোক্তার কাজের সময়সূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাতে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, ২০২১ সালের অক্টোবরে জ্যাক মা স্পেনে ছিলেন, যেখানে তিনি পরিবেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কৃষি ও প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর বাইরে তিনি এগ্রোটেক নিয়ে পড়াশোনা করতে নেদারল্যান্ডস, জাপান ও থাইল্যান্ডেও গিয়েছেন।
এদিকে মে মাসে টোকিও কলেজ ঘোষণা দেয়, জ্যাক মা সেখানে শিক্ষকতার করার পাশাপাশি টেকসই কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করবেন।
২০১৯ সালে আলিবাবা থেকে অবসর নেন জ্যাক মা। পরে জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের বোর্ডে যুক্ত হেন তিনি।
এদিকে, গেল জুনের শেষদিকে ‘গোপনে’ ঢাকায় এসেছিলেন চীনা ই–কমার্স জায়ান্ট আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফর শেষে বিশেষ ফ্লাইটে নেপাল যান তিনি। পরে পাকিস্তান হয়ে যান উজবেকিস্তানেও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।