জুমবাংলা ডেস্ক: ‘এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত আর উপসর্গ নিয়ে তিনজন সাংবাদিক মারা গেছেন। আমরা জানি কেউ মারা গেলে তার পরিবার তাৎক্ষনিকভাবে কী অর্থ সংকটে পড়ে। আর আমাদের দেশের অধিকাংশ সাংবাদিকের সঞ্চয় নেই। বেতনের টাকাই তাদের সম্বল। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা এখনো ওই জায়গায় পৌছেনি যে, কোনো সাংবাদিক অকালে চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে প্রতিষ্ঠান, সংগঠন বা কল্যাণ ফান্ড থেকে এটা মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন। যেটা দিয়ে তার পরিবার আগামীতে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাবে। সত্যি অনেক সাংবাদিক যে কী নিদারুন কষ্টের মধ্যে থেকেও দিনের পর দিন আপোষহীনভাবে সত্যের সঙ্গে লড়াই করছে এটার খােঁজ আমরা অনেকে রাখিনা।
আমরা নানা প্লাটফর্ম থেকে অনেক বড় বড় কথা বলতে পারব; তবে মুখ্য বিষয় হলাে যাদের হারিয়েছি তাদের পরিবারের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি সেটা।
করোনাকালে যে তিন সাংবাদিক মারা গেলেন তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। আজ তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক চেক ও ঈদ উপহার প্রদান করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। মানবিক পুলিশের নতুন নতুন দ্বার খুলছেন তিনি।
এটা আরো ভালো লেগেছে- যে তিন জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দু’জনের স্বজন ক্রাইম রিপাের্টার ছিলেন না। তাদের সঙ্গে চেনাজানাও ছিল না তার। কে কোন বিট করে এটা মুখ্য নয়। তাদের সাংবাদিক হিসেবে দেখা হয়েছে। আমাদের দেশে সাধারণত নিজস্ব গন্ডি, বলয় আর পরিমন্ডলের বাইরে কারো প্রতি মহত্ব দেখানো নজির কম। সহায়তার ক্ষেত্রে এমন সংকীর্নতা এখানে পুলিশ প্রধান দেখান নি। আপনার জন্য শুভাশিষ রইল।
সত্যি করােনকালে মানুষের ভালােবাসা, প্রত্যাশা আর আস্থা অর্জনের চ্যালেঞ্জ পুলিশকে আগামীতে নিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ করোনা পরবর্তী সময়েও নিতে পারলে পুলিশ সত্যিকার অর্থে জনগণের বন্ধু হয়ে উঠবে। শুভ রাত্রি।’
(লেখা ও ছবিটি জাতীয় দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি সাহাদাত হোসেন পরশের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।