লাইফস্টাইল ডেস্ক : চকলেট নিয়ে হওয়া সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে বলা হয়েছে, এটি উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক করে এবং হৃদ্যন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া চকলেট রক্তে শর্করার হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
চকলেট তৈরির মূল উপাদান কোকোয়া। গবেষণায় এই কোকোয়ার নানা অদ্ভুত গুণের কথা জানা গেছে। প্রাচীন মায়া সভ্যতায় দৌড়ানোর সহায়ক হিসেবে চকলেট পাউডার ব্যবহার করা হতো। এটি খেলে নাকি বেশি দৌড়ানো যেত! আর বর্তমান শতাব্দীর গত দশকে জানা গেছে, চকলেটে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ডায়রিয়া নিরাময়ে বেশ উপকারী ভূমিকা রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওর সেইন্ট ভিনসেন্ট মার্সি মেডিকেল সেন্টারের কার্ডিওলজি বিভাগের গবেষক ওয়াইস খাজা বলেন, ‘চকলেট খুব ভালো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শরীরের প্রদাহজনিত রোগ কমাতে এটি ভালো কাজে দেয়। আমরা মনে করি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হওয়ার কারণেই এর উপকারী দিক বেশি। চকলেট খেলে ক্যানসার ও স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকিও কমে আসে।’
তবে সব চকলেটেই যে সমান গুণ আছে, তা কিন্তু নয়। কারণ, সব চকলেট একই রেসিপিতে তৈরি হয় না। কোকোয়া বীজে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস নামক একটি পুষ্টিকণা চকলেটকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিণত করে এবং প্রদাহজনিত রোগ কমানোর গুণ দেয়। কালো কুচকুচে ডার্ক চকলেটে এসব গুণ বেশি থাকে, দুধ মেশানো বা সাদা রঙের চকলেটে থাকে অনেক কম।# চকোলেটের ঘ্রাণ মস্তিষ্কে থেটা ওয়েভ বাড়ায়। ফলে শিথিল হয় দেহ
# সাদা চকোলেট আসলে চকোলেট নয়, কেননা এতে কোকোয়া নেই
# ৪৫০ গ্রাম বা এক পাউন্ড চকোলেট তৈরিতে ৪০০ কোকোয়া বীজ প্রয়োজন
# প্রতি সেকেন্ডে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ১০০ পাউন্ড চকোলেট খায়
# বিশ্বের সবচেয়ে বড় চকোলেট বারের ওজন পাঁচ হাজার ৭৯২ কেজি বা ১২ হাজার ৭৭০ পাউন্ড
# চকোলেট টাইকুন মিলটন হার্শে ব্যবসায় ক্ষতি হবে ভেবে শেষ মুহূর্তে টাইটানিকে চড়েননি
# মিল্ক চকোলেটে পটেটো চিপস রয়েছে
# প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়
# চকোলেট কুকুরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে, এমনকি মেরেও ফেলতে পারে
# মুখের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে চকোলেটের এবং ক্ষয় থেকে দাঁতকে সুরক্ষিত করে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।