বিনোদন ডেস্ক : বিনোদনের দুনিয়ায় বিতর্ক এক নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার। সেখানে প্রিয় তারকাদের নিয়ে আলাপ আলোচনাও কম হয়নি। আর এক্ষেত্রে টলিউডে অন্যতম দুই সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়েও কম গুঞ্জন ছড়ায়নি এক সময়। বাংলা সিনেমার জগতে অনন্য কৃতিত্ব রেখে গেলেও তাদেরকেও অনেক সমালোচনা শুনতে হয়।
হালে মুক্তি পাওয়া প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা সিনেমাকে কেন্দ্র করে আবারো শোরগোল উঠেছে। নব্বইয়ের দশকে দুজনে মিলে একাধিক হিট ফিল্ম উপহার দিয়েছেন বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিকে। পর্দায় দুজনের মাখ মাখ প্রেম দেখে অনেকেই ধরে নেন সেই প্রেমের আঁচ পড়েছে বাস্তবেও। কিন্তু যে সম্পর্ক নিয়ে এত বিতর্ক, সেই সম্পর্ক কি আদৌ ছিল?
তারা একে অপরকে খুব ভালো বন্ধু বলে দাবি করেন। আজও তাদের মধ্যে সেই বন্ধুত্বের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। এদিকে এসবের মাঝে শ্রীলেখা মিত্র দাবি করেন, একমাত্র ঋতুপর্ণার কারণেই আর কোনো ছবিতে অভিনয় করতে পারেননি তিনি। যদিও সেই সময়ের ট্রেন্ড লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, ধারাবাহিকে যারা কাজ করেছেন তাদের বড়পর্দায় সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবেননি সিনেমা নির্মাতারা।
মোট ৪৮ টি ছবি একত্রে করেছেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা। যদিও এর চেয়ে আরো বেশি ছবি তারা করতে পারতেন। কিন্তু একপ্রকার ইন্ধন যুগিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের জুটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এরপর দুজনেই ধীরে ধীরে সরে আসেন অভিনয় জীবনের মুখ্য চরিত্র থেকে। বহুবছর পর প্রাক্তন ছবিতে আবার তারা একসাথে কামব্যাক করেন।
এদিকে প্রসেনজিৎ এক গল্পটাকে নিয়েই একখানা সিনেমা বানিয়ে ফেলেন। সেখানে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যায় দুজনকেই। অনেকের সাথে ঋতুপর্নাও জানিয়েছে। যে, তারা আজ বন্ধু বলেই ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ নামক ছবি হতে পারে। তবে এই ছবি নিয়ে তারাও কম উৎসাহিত থাকেননি। বেশ জমাটি প্রমোশন করেছেন তারা। কিন্তু কেমন হয়েছে ছবিটি? দেখতে হলে নিকটবর্তী সিনেমা হলে যেতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।