স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ৭ম আসরের ৩৮ তম দিনে ফাইনাল ম্যাচে লড়াই করছে খুলনা টাইগার্স এবং রাজশাহী রয়্যালস। ফাইনাল শেষ হবার আগেই শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা। কার হাতে উঠতে যাচ্ছে এবারের আসরের টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি টুর্নামেন্ট সেরা হবার রেকর্ড রয়েছে সাকিব আল হাসানের। ৬ আসরের ভেতর তিন আসরেই (২০১১-১২, ২০১২-১৩ এবং ২০১৮-১৯) প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট খেতাব জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে অংশ নিতে পারেননি তিনি বিপিএলের এবারের আসরে। বাকি তিন আসরে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব বাগিয়ে নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২০১৬-১৭), আসার জাইদি (২০১৫-১৬) এবং ক্রিস গেইল (২০১৭-১৮)
বিপিএলের ৭ম আসরে দেশি ক্রিকেটাররা রয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা হবার লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে। টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম, রাইলি রুশো,লিটন দাস, শোয়েব মালিক ও ডেভিড মালান। এছাড়াও রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আমির, রবি ফ্রাইলিংক এবং শহিদুল ইসলামও রয়েছেন এই তালিকায়।
ব্যাটিংয়ের দিক থেকে পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখছে সবচেয়ে বেশি খুলনা দলপতি মুশফিকুর রহমানকে। ১৩ ম্যাচে ৭৮.৩৩ গড়ে করেছেন ৪৭০ রান। ১৪৭.৩৩ স্ট্রাইক রেট তাঁর। দুইটি শতক অল্পের জন্য হাতছাড়া হলেও বাগিয়ে নিয়েছেন ৪ টি অর্ধশতক।
রানের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন মুশফিক সতীর্থ রাইলি রুশো। ১৫৬.৩১ স্ট্রাইক রেটে ৪৫.৮০ গড়ে রান করেছেন ৪৫৮। শতকের দেখা না পেলেও দেখা পেয়েছেন ৪ টি অর্ধশতকের।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন রাজশাহী রয়্যালসের লিটন দাস। ১৪ ম্যাচে ১৩৪.২১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪৫৫। সেই সাথে নিজের ঝুলিতে ভরেছেন ৩টি অর্ধশতক। সমপরিমাণ ম্যাচ খেলে স্ট্রাইক রেটে পিছিয়ে থাকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন লিটন দাসের সতীর্থ শোয়েব মালিক।
৩৭.৯১ গড়ে ৪৫৫ রান করেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু সেই সাথে ৫ উইকেট শিকার করায় কিছুটা এগিয়ে থাকছেন তিনি। আর ১১ ম্যাচে ৪৯.৩৩ গড় এবং ১৪৫.০৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৪৪ রান করে ৫ম অবস্থানে রয়েছেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ডেভিড মালান। সেই সাথে ৩টি অর্ধশতকের সাথে একটি শতক রয়েছে তাঁর।
এবারে আসা যাক বোলিংয়ে। ১৩ ম্যাচ খেলে ১৬.৮৫ গড়ে ২২ উইকেট নিয়েই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এবারের আসরের খুলনার বোলার মোহাম্মদ আমির।তাঁর সেরা বোলিং ফিগার যে ৬/১৭।
১৪ ম্যাচ খেলা খুলনা টাইগার্সের পেসার রুবি ফ্রাইলিঙ্কেরও শিকার ২১ উইকেট। ১৮.৬০ গড়ে সেরা বোলিং ফিগার ৫/১৬ নিয়ে সেরা হবার দৌড়ে টিকে রয়েছেন তিনিও।
১২ ম্যাচে ১৫.৬০ গড়ে ২০ উইকেট শিকার করে চলতি বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন রংপুর রেঞ্জার্সের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ফাইনালের আগ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারর তালিকার শীর্ষে। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে খুলনার পেসার মোহাম্মদ আমির দুই উইকেট এবং রুবি ফ্রাইলিঙ্ক একটি উইকেট শিকার করে টপকে গেছেন ফিজকে।
১৩ ম্যাচে ১৭.৮৫ গড়ে সমপরিমাণ উইকেট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন চট্টলার রুবেল হোসেন। তিনি হয়তো ছাড়িয়ে যেতেন বাকিদের। কিন্তু রাজশাহীর কাছে হেরে দলের বিদায়ে তাঁর সবকিছু থেমে যায় এখানেই।
৫ম অবস্থানে রয়েছে খুলনা টাইগার্সের আরেক পেসার শাহিদুল ইসলাম। ১৩ ম্যাচ খেলে ২০.৪২ গড়ে নিয়েছেন তিনি ১৯ উইকেট।
এছাড়াও সেরা হবার তালিকায় টিকে রয়েছেন আফিফ হোসেনও। ৩৬০ রান করার পাশাপাশি বল হাতেও নিয়েছেন ৭ উইকেট। ফাইনালে অতি মানবীয় কিছু ঘটিয়ে ফেললে ছিনিয়ে নিতে পারেন টুর্নামেন্ট সেরার খেতাবটি। সূত্র : সারাবাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।