স্পোর্টস ডেস্ক : পর্তুগাল মরক্কো ম্যাচের রাত রোনালদোর ফ্যানদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে পর্তুগালকে! আল থুমানা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪২ মিনিটে ইউসেফ এন-নেসরির গোলই পর্তুগালের স্বপ্ন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
লা লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-সবই জিতেছেন, কেবল বিশ্বকাপটাই ছুঁয়ে দেখতে পারেননি সি আর সেভেন। অধরা সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য কাতার বিশ্বকাপটাই ছিল তার শেষ সুযোগ। এবারও পারলেন না পর্তুগিজ তারকা। ম্যাচ হেরে কাপ ছুঁতে না পারার যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েন সিআর সেভেন।
চোখের জলে মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছেন পর্তুগালের স্বপ্নের সওদাগর। শিশুর মতো অঝোরে কেঁদেছেন তিনি। সুইজারল্যান্ডের পর মরক্কো ম্যাচেও কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস রোনালদোকে প্রথম একাদশে রাখেননি। এদিনও দ্বিতীয়ার্ধে তাকে নামান কোচ। গুরু-শিষ্যের ‘ইগোর লড়াই’ এমনই চরমে!
রোনালদোর এই কান্না সহ্য করতে পারেননি বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগুয়েজ। ইন্সটাগ্রামে পর্তুগাল কোচের দিকে ইঙ্গিত করে পোস্ট দিয়েছেন তিনি, ‘আজ তোমার বন্ধু ও কোচ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে বন্ধুর জন্য তোমার অনেক ভক্তি, অনেক শ্রদ্ধা ছিল। একই বন্ধু পরে তোমাকে আবার মাঠে নামালেন, কিন্তু তখন সব বদলে গেছে, অনেক দেরি হয়ে গেছে। ‘আপনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রকে ছোট করতে পারেন না।’
এই বিশ্বকাপে শুরুটা দারুণ ছিল রোনালদোর। ঘানার বিপক্ষে গোল করে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর থেকেই নিভে যেতে থাকে যেন তার আভা। বয়সের ছাপ পড়ে পারফরম্যান্সে। ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও পাননি। একাদশেই হারিয়ে ফেলেন জায়গা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।