জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পলিটিক্সের উপাদান যুক্ত হয়ে গেছে। আমাদের ডিভাইসিভ পলিটিক্স পোলারাইজড পলিটিক্স এখানে যুক্ত হয়ে গেছে। কারণ বিএনপি প্রকাশ্যে এবং তাদের সমমনারা এই কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা সাপোর্ট করেছে প্রকাশ্যেই।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সাপোর্ট করা মানেই তারা এর মধ্যে অংশগ্রহণও করেছে। কাজেই এটা এখন পোলারাইজড পলিটিক্সের ধারার মধ্যেই পড়ে গেছে। এটার পলিটিক্যাল কালার নতুন করে বলার আর অপেক্ষা রাখে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে কারা কারা যুক্ত আছে, কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না সেটা এর মধ্যেই বোঝা যাবে। এই গতিধারায় সবকিছুই সময়ের পরিবর্তনে পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোনো কিছুই গোপন করা সম্ভব হবে না। সেটা আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
এ দিন সংবাদ সম্মেলনটি খুব একটা দীর্ঘ হয়নি। সংবাদ সম্মেলন শেষে দুপুর সোয়া ১টার দিকে দপ্তর কক্ষে চলে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বেলা ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। দপ্তর কক্ষে চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে বৈঠকে বসেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় দপ্তর কক্ষে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেন। বৈঠকে যেতে দেখা গেছে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াকে।
দলীয় সূত্র মতে, হঠাৎ করেই বৈঠকটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ, আইনগত দিক ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।