আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এই করোনার ভেতর ৩০ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন মাথায় গুলি খেয়ে কোমায় চলে যাওয়া তানজিম সিয়ামের মা।
পাঁচ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়ে ‘এম অ্যান্ড আর’ নামের একটি দোকানে কাজ শুরু করেন বাংলাদেশি যুবক সিয়াম। সেই দোকানে ডিউটি করা অবস্থায় এক সন্ত্রাসী তার মাথায় গুলি করে।
ভিন দেশে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে থাকা ছেলেকে একবার দেখার আশায় সিয়ামের মা মনোয়ারা বেগম মনি ছটফট করতে থাকেন। পরে একটি বিমান কোম্পানির সহায়তায় সোমবার তিনি সেখানে যেতে পারলেন। এই পুরো প্রক্রিয়ায় তাকে সাহায্য করেছেন বোস্টনের দুই স্থানীয় রাজনীতিবিদ-সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং এড মারকে।
বোস্টন ২৫ নিউজ নামের একটি পোর্টালের রিপোর্টার মালিনি বসু সিয়ামের মায়ের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন অ্যাপে কথা বলছিলেন। এই বাঙালি সাংবাদিকও সিয়ামের মাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিতে অনেক সাহায্য করেছেন।
সিয়ামের মায়ের সঙ্গে তার দুই ভাই, বাবাও দেশটিতে গেছেন। এই প্রথম তারা আকাশপথে ভ্রমণ করলেন।
বোস্টন মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি থাকা ২১ বছর বয়সী সিয়াম কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন না। মনোয়ারা বেগমের আশা, ছেলের হাতে হাত রাখলে নিশ্চয়ই সে সাড়া দেবে।
বোস্টনের দোকান মালিক সমিতি সিয়ামের পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজে নেমেছে। ‘GoFundMe’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার ডলারের তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল তাদের। সেটি পূরণ হওয়ার পর ৭৫ হাজার ডলারের টার্গেট সেট করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫০ হাজার ৭৫০ ডলার পাওয়া গেছে। আপনিও এই লিংকে গিয়ে ডোনেট করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।