স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নেইমার জুনিয়র নামের এক বিস্ময়বালকের আবির্ভাব হয় ব্রাজিলে। প্রতিভা এবং সক্ষমতার কোনো কমতিই ছিলো না। কিন্তু সেটা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলেন কই? কাজে লাগাতে পারেননি বলতে খারাপ খেলেছেন মোটেও সেটা নয়। বরঞ্চ প্রতিভা এবং সক্ষমতা অনুযায়ী ভালো খেলেছেন, জিতেছেন, অসংখ্য গোল করেছেন এবং করিয়েছেনও।
কিন্তু ঘন ঘন ইনজুরিতে পড়া, খেলার মাঠে অযথায় নিজের কাছে বল রেখে ড্রিবলিং করার চেষ্টা, যার কারণে ফাউলের শিকার হতেন বেশি এবং ফিটনেস কম থাকাতে সেই ফাউলগুলোর কারণে বড় বড় ইনজুরিতে পড়ে লম্বা সময় থাকতে হতো মাঠের বাইরে। মাথা ঠান্ডা না রাখতে পারা কিংবা সামান্য ফাউলের শিকার হয়ে মাঠে গড়াগড়ি করা, এককথায় এসবের ভিড়ে তার ভালো খেলাটা আড়ালেই পড়ে যেতে বসেছিল।
যেই মেসি-রোনালদোর পরেই ফুটবল তারকা হিসেবে তার নাম উচ্চারণ হয়, সেই মেসি রোনালদোরা ৩০ বছর বয়সে জিতেছিলন ব্যক্তিগত সবকিছুই। অথচ ত্রিশের নেইমারের ব্যক্তিগত পুরস্কার এখনো শূন্য। তাই তার ভক্তদের আফসোস আর আক্ষেপের সুরে বলতে হচ্ছে, ইশ! যদি ইনজুরিমুক্ত নেইমারকে পাওয়া যেত। তাহলে অধরা ব্যালন ডি’অর বা ফিফা বর্ষসেরার দু-একটা পুরস্কার উঠতে পারতো তার হাতে।
কিন্তু এবার নতুন মৌসুমে অন্য এক নেইমারকে দেখা যাচ্ছে। ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান স্টার। পিএসজির হয়ে এই মৌসুমে এখন অব্দি ৪ ম্যাচ খেলে ৭ গোল ও ৬ এসিস্ট করেছেন। অর্থাৎ ৪ ম্যাচে সরাসরি ১৩ গোলে অবদান রেখেছেন নেইমার! লিগে পিএসজি ৩ ম্যাচে ১৭ গোল করেছে, ৫ গোল আর ৬ এসিস্টে ১১ গোলেই নেইমারের সরাসরি অবদান রয়েছে। টানা ৪ ম্যাচই জিতেছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার।
এই নেইমার এখন অনেক পরিণত। ফিটনেস, ট্রেনিং, মাইন্ড সেট-আপ সব কিছুতেই এনেছেন আমূল-পরিবর্তন। ঠান্ডা মাথায় স্বপ্নের মতো নতুন মৌসুম শুরু করেছেন নেইমার। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র ৮৯ দিন। ব্রাজিল সমর্থকদের মনেপ্রাণে চাওয়া, ইনজুরিমুক্ত নেইমারের এমন উড়ন্ত পারফরম্যান্স যেন বিশ্বকাপেও অব্যাহত থাকে। কারণ তাকে ঘিরেই যে সাম্বা সমর্থকেরা হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখেন। তাই তাদের স্বপ্নের হেক্সা জয়ের সম্ভাবনা বাস্তবে রূপান্তরিত করতে উড়ন্ত নেইমারকে এভাবে উড়তে হবে।
কাতার বিশ্বকাপ জিতে বাংলাদেশি ভক্তদের সাথে উদযাপন করতে চায় আর্জেন্টিনা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।