লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানুষের বয়স বাড়লে হাড়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে এটা হয়। এছাড়া যেকোনো বয়সেই হাড়ের ও ক্যালসিয়াম ঘাটতির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর কারণ হলো ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া। অতিরিক্ত লবণ, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস, অতিরিক্ত প্রোটিন বা প্রাণিজ প্রোটিন হাড়ের ক্ষতি করে। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে এবং হাড় হয়ে উঠবে মজবুত। তেমনই কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।
টক জাতীয় ফল
টক জাতীয় ফল হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কমলালেবু, জাম্বুরা, কাগুজে লেবুর মতো যেকোনো লেবুতেই থাকে ভিটামিন ‘সি’ আর সাইট্রিক অ্যাসিড, যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এছাড়া অন্যান্য টক জাতীয় ফল হাড় সুস্থ রাখতে অবদান রাখে।
ব্রোকলি
মজবুত হাড় পেতে নিয়মিত ব্রোকলি খেয়ে দেখুন। ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই সবজিটি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। হাড়কেও করে শক্তিশালী। নিয়মিত ব্রোকলি খেলে ভবিষ্যতে হাড়ের সমস্যা অনেকটা কম দেখা দেবে।
সয়াবিন
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সয়াবিন খুবই উপকারী। এক কাপ (১০০ গ্রাম) সয়াবিনে প্রায় ১৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত সয়াবিন খান। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ঢ্যাঁড়শ
বাজারে অত্যন্ত সহজলভ্য একটি সবজি ঢ্যাঁড়শ। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। অনেকে এর পিচ্ছিল আশের কারণে খেতে পছন্দ করেন না। তবে সহজলভ্য এই সবজির গুণ জানলে যারা অপছন্দ করেন তারাও পছন্দ করতে শুরু করবেন। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খেতে পারেন। মাত্র ৫০ গ্রাম ঢ্যাঁড়শে রয়েছে ১৭২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। হাড়ের অসুখে পড়তে না চাইলে এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে ঢ্যাঁড়শের সাহায্য নিন।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এক মুঠো (১০০ গ্রাম) কাঠবাদামে প্রায় ২৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দ্রুত পূরণ করতে যথাসম্ভব কাঠবাদাম রাখুন নিয়মিত খাবারের তালিকায়।
তিল
তিল এবং তিলের তেল খুবই উপকারী জিনিস। গ্রামে এখনো অনেক ধনী কৃষক পরিবার রয়েছে যারা নিয়মিত তিলের তেল দিয়ে রান্না তরকারি খায় এবং বিভিন্ন খাবারে তিল ব্যবহার করে। এটি অত্যন্ত উপকারী। কারণ তিলে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। মাত্র ১০০ গ্রাম কাঁচা তিলে রয়েছে এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
ডিম
ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। ডিম হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং এতে ক্যালোরিও থাকে বেশ কম। তাই হাড়ের সুস্থতায় দিনে অন্তত একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
দুধ
হাড়ের সুস্থতায় ক্যালসিয়াম বেশ কার্যকর উপাদান এবং দুধ সবচেয়ে ভালো ক্যালসিয়ামের উৎস। দুধের ক্যালসিয়াম খুব সহজে আমাদের দেহ হজম করে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। ছোটবেলা থেকেই দুধ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। শুধু ছোটদের নয় বড়দেরও হাড়ের সুস্থতায় প্রতিদিন দুধ পান করার অভ্যাস করা প্রয়োজন।
হাড়ের সমস্যা ও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে কোনো ওষুধ না খেয়ে এসব খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।