জুমবাংলা ডেস্ক : ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন ১৫ থেকে ২০ জনের তালিকা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন অভিযোগে ১৫ থেকে ২০ জনের তালিকা দুদকের হাতে এসেছে। তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। যদিও ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দুদকের কাজ নয়। শুধু অবৈধ সম্পদ অর্জনের অংশটুকু দুদকের তফসিলভুক্ত।
এর আগে গত ১ অক্টোবর ক্যাসিনোর মাধ্যমে যারা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। কমিশনের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার পর অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর সারা দেশে র্যাব ও পুলিশ অন্তত ৩৫টি অভিযানে ২৭০ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগ ও কৃষক লীগের তিন শীর্ষ নেতা। ক্যাসিনো ব্যবসা করে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন যুবলীগ ও কৃষক লীগসহ অনেক রাজনৈতিক নেতারা।
এর মধ্যে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীমসহ বেশ কয়েকজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোটি কোটি টাকা ও স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার হয় সূত্রাপুরের দুই ভাই এনামুল হক ওরফে এনু ভূঁইয়া ও রুপন ভূঁইয়া।
রাজধানীর মণিপুরিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে। সর্বশেষ ৬ অক্টোবর নাটকীয় অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো বেরিয়ে এসেছে অনেক ভিআইপি ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের নাম। দুদক শুধু অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।