চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় মাদকবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেকুর রহমান হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আবদুল হান্নান সোহেল পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। আর এ ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সোহেলের বাবা আবদুল আলীম।
আজ রোববার আবদুল আলীম আমাদের সময়কে বলেন ‘আমার ছেলে সোহেলকে পুলিশ ক্রসফায়ার না দিলে আমি নিজেই তাকে গুলি করে মারতাম। সে শুধু এলাকার লোকজনকেই জ্বালায়নি, আমাকে, তার মা, ভাই-ভাবিকেও ছুরি দিয়ে বারবার আঘাত করার চেষ্টা করেছে। তার জ্বালায় আমরা খুব অতিষ্ঠ।’
আবদুল আলীম আরও বলেন, ‘সে ক্রসফায়ারে মারা গেছে, এতে আমার কোনো দুঃখ নেই। তাকে আরও আগে গ্রেপ্তার করলে মোসাদ্দেককে খুন করতে পারতো না। তার ক্রসফায়ারে আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’
এর আগে গত ২২ জুন মোসাদ্দেককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর পালিয়ে যান সোহেল। গত শুক্রবার মধ্যরাতে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাঙ্গুনিয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সেই রাতে তার স্বীকারোক্তিমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করতে গেলে সোহেলের সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে সহযোগীদের গুলিতে সোহেল নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার ময়নাতদন্তের পর পুলিশ সোহেলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে সেই রাতেই পরিবারের কয়েকজন লোকের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। তবে, স্থানীয়দের বাধার মুখে সেখানকার কবরস্থানে সোহেলকে দাফন করা যায়নি এবং তার জানাজায়ও স্থানীয় কোনো লোক অংশ নেয়নি।
এদিকে নিহত মোসাদ্দেকুর রহমানের বাবা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার মূল আসামি সোহেল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় আমি এবং পুরো পরিবার খুব সন্তুষ্ট। পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।