জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার নাসির হোসেন বিয়ের রেশ যেতে না যেতেই বিপাকে পড়েছেন। কেবিন ক্রু তামিমা তাম্মির সঙ্গে তাঁর বিবাহবন্ধনের ছবি অন্তর্জালে বেশ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই নাসিরপত্নীর ‘সাবেক স্বামী’র দাবি, বিবাহবিচ্ছেদ ছাড়াই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন নবযুগল। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা ৩৬ মিনিটে মুঠোফোনে তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান দাবি করেন, আইনগতভাবে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ছাড়াই নাসিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তামিমা। এ ব্যাপারে তামিমাকে ফোন করে কোনো সাড়া না পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাকিব।
তামিমার আরেক স্বামীর নাম রাকিব। এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তামিমাকে নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন তিনি। ভালোবাসা জোর করে হয় না উল্লেখ করে রাকিব বলেন, ‘সে যদি একবার বলত, রাকিব আমি তোমার কাছে থাকবনা। আমি বলতাম, ঠিক আছে তুমি তোমার মতো চলে যাও। একটা বাচ্চা মেয়ে রেখে, বিয়েতে যে ভিডিও করছে সেগুলো তো আপনারা দেখেছেন। কোনো মা কি পারে এভাবে ভিডিও করতে। যার একটা স্বামী আছে, মেয়ে আছে; সে কি এ রকম ভিডিও করতে পারে?
সাক্ষাৎকারে রাকিব জানান, মা চলে যাওয়ায় কান্না করছে তার মেয়ে। মেয়ের কান্নার কথা বলতেই কণ্ঠ ভারী হয়ে যায় রাকিবের। তামিমা এখনো আপনার স্ত্রী? জানতে চাইলে রাকিব বলেন, ‘আমি এখনো কোনো কাগজ পাইনি। তার মানে সে এখনো আমার স্ত্রী। কোন দেশে আমি বাস করছি, কোথায় আছি। নাসিরও বা কেমন, ক্লিয়ারেন্স না নিয়ে জমজমাটভাবে বিয়ে করছে আরেকজনের স্ত্রীকে।’
আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ কী? উত্তরে রাকিব বলেন, ‘আমি আইনজীবী ধরব, আইনগতভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করব। আমরা কোনো ভুলে পথে যাব না।’
এর আগে, শনিবার (২০ ফেব্রয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া তামিমার সাবেক স্বামী রাকিবের জিডির কপিতে এ তথ্য পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডিটি করেন রাকিব। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। জিডি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেন রাকিব। তাদের ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যেই তামিমা অন্য এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। ছয় মাস সংসার করার পর ফিরে আসে। পরে রাকিবের সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে পার পায়। কিন্তু গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন করে নাসিরের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হলে রাকিব জানতে পারেন, তামিমা বিয়ে করেছেন।
জিডি সূত্রে আরো জানা যায়, তামিমা ছয় মাস যে ছেলের সঙ্গে সংসার করেছেন ওই ছেলের নাম অলক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে এই ছেলের বিষয়েই নাসির ও রাকিবের মধ্যে কথোপকথন হয়। স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক রাকিব বলেন, এখনও আমাদের ডিভোর্স হয়নি। কোনো নোটিশ ছাড়া কীভাবে আমার স্ত্রী ৮ বছরের বাচ্চাকে ফেলে অন্য একজনকে বিয়ে করলো সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। রাকিবের দাবি, গেল ১১ বছরে তার স্ত্রীর পড়াশোনা থেকে শুরু করে জব সবক্ষেত্রেই তিনি সাহায্য করেছেন।
রাকিব ও নাসিরের ফোন রেকর্ডে রাকিবকে ফোন করে জিডি করার ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে বলেন নাসির। রাকিবের প্রশ্ন ছিল আপনি কি তামিমা সম্পর্ক সব কিছু জানেন? উত্তরে নাসির হোসেন বলেন, তার সব কিছু জেনেশুনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তার বাচ্চা আছে, তার আগেও বয়ফ্রেন্ড ছিল সবকিছুই আমি জানি। আপনার বৌ আপনার সাথে ভালো থাকলে নিশ্চয়ই আপনার ১১ বছরের সংসার ভেঙে আমার কাছে চলে আসতো না।
এই বিষয়ে জানতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।