মোহাম্মদ আল আমিন : টেস্ট ক্রিকেটের ১৩৮ বছরের ঐতিহ্য ভেঙ্গে ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর প্রথম দিবা-রাত্রি টেস্ট ম্যাচ খেলা শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড ওভালে ম্যাচটি খেলতে অংশগ্রহণ করেছিলো অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড।
সাবেক অনেক খেলোয়াড়ই ভাবতেন, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেট এসে দর্শকরা টেস্ট ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে। তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে দীর্ঘ ফর্মেটের টেস্ট ক্রিকেট থেকে।
আর তাই টেস্ট ক্রিকেটকে উজ্জীবিত করতেই আইসিসি সিদ্ধান্ত নেয় দিবা-রাত্রি টেস্ট আয়োজন করার। যাতে করে ১৩৮ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ঐতিহ্যকে আবারও ফিরিয়ে আনা যায়।
দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার বেশিরভাগটাই হয় ফ্লাডলাইটের আলোয়। আর রাতে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বল দেখার সুবিধার্থেই তৈরি করা হয় গোলাপী রঙের বল।
লাল বল দিয়ে টেস্ট খেলার ঐতিহ্য ভাঙার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি অনুমোদন দিয়ে দেয় খুব সহজেই। তবে গোলাপী বলের ব্যবহার নিয়ে মতভেদ ছিলো অনেকেরই।
তবে একটা সময় এসে সব ধরণের সমস্যা ও বাঁধা টপকিয়ে অবশেষে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড প্রথম গোলাপী বল দিয়ে দিবা-রাত্রি টেস্ট ম্যাচকে একটি পুর্ণ রুপ দিতে সক্ষম হয়েছিলো ২০১৫ সালে।
গোলাপী বলে খেলা ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচটিতে জয়ী হয় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেইড ওভালে নিউ জিল্যান্ডকে হারায় ৩ উইকেটে এবং সেই সঙ্গে প্রথম পিংক টেস্টে ম্যাচ সেরা হয়, অজি পেসার জস হ্যাজেলউড।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটা দেশই দিবা-রাত্রি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এখন পর্যন্ত গোলাপী বলে খেলুড়ে দেশ গুলো, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে।
বিশ্বের ৮টি দেশ ক্রিকেট মাঠে গোলাপী বলের স্বাদ নিলেও এখন অব্দি এ বলের স্বাদ নেয়নি বাংলাদেশ ও ভারত। নিজেদের এর অংশীদার করতেই আগামী নভেম্বর মাসের ২২ তারিখ ভারতের কোলকাতায় ফ্লাডলাইটের আলোয় শুরু হবে গোলাপী বলের দিবা-রাত্রি টেস্ট ম্যাচ। আর এ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।