জুমবাংলা ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে অপরিচ্ছন্ন ক্লাসরুম নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত বুধবার বশেমুরবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের আপত্তিকর ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনা করেই বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তার পরেও কারও বক্তব্য থাকলে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থীদেরকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
এর মধ্যে স্ট্যাটাসদাতাকে এক বছর ও কমেন্টকারী ৫ জনকে ৬ মাসের (এক সেমিস্টার) জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা সবাই ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৩য় বর্ষের (২০১৬-১৭ ) শিক্ষার্থী। এর মধ্যে হাবিবুল্লাহ নিয়নকে ২ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি ৫ জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন- মো. রাশেদ হাসান, মুনিম ইসলাম হীরা, ঝিলাম হালদার, দেবব্রত রায় এবং ফাহমিদা বৃষ্টি।
বহিষ্কারের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের (২০১৬-১৭ ) ছাত্র নিয়ন বিভাগীয় ক্লাসরুম ১০৩ এর পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি করে। এই লেখালেখিতে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় এই মর্মে বিভাগীয় চেয়ারম্যান মহোদয় তাকে সতর্ক করেন। তা উপেক্ষা করে সে ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেয়।
এই প্রেক্ষিতে নিয়ন এবং তার কতিপয় সহযোগী কিছু অপ্রীতিকর মন্তব্য লিখে যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং বিভাগের চেয়ারম্যানকে নিয়েও আপত্তিজনক মন্তব্য করেছে যা শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং গর্হিত কাজ। এমন গর্হিত কাজের জন্য এ সংক্রান্ত ঘটনা তদন্তের জন্য বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশ অনুসারে কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষার্থীদের একাডেমিকভাবে বহিষ্কার করা হলো।’
বহিষ্কৃতদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ইইই বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ফেসবুক পোস্টটিতে এমন কিছু ছিল না যাতে একজন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হতে পারে।
অপরদিকে বহিষ্কারের নোটিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরুউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন ‘এটি সম্পূর্ণ একাডেমিক সিদ্ধান্ত। ইইই বিভাগ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
এ ব্যাপারে ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. বি কে বালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।