বাংলাদেশি বোলারদের পাত্তা না দিয়েই প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। শনিবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ৩৩০ রানের জবাবে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান করেছে বাবর আজম বাহিনী।
প্রথম দিন ১১৩ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন মাত্র ১ রান যোগ করেই আউট হন লিটন দাস। তবে তার আগে ঠিকই দলের বিপর্যয়ের মুহুর্তে হাল ধরেন। তুলে নেন নিজের প্রথম সেঞ্চুরিও।
তবে দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেই অন্য কারণে মেজাজ হারালেন উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান।
তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, মেহেদী হাসান মিরাজদের নিয়ে গড়া বোলিং বিভাগ নিজেদের সবচেয়ে দুর্বল বোলিং লাইনআপ কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন লিটন।
তিনি বলেন, ‘আপনি কীভাবে এটাকে পুওর বোলিং লাইনআপ বলতে পারেন? যে কয়জন বোলার খেলছে সবাই তো টেস্ট বোলার। এবাদত, রাহী তারা দুজনই টেস্ট বোলার। তারা আগেও অনেক ভালো করেছে, উইকেটও নিয়েছে। তাইজুল আর মিরাজকে নিয়ে তো কোনো সন্দেহই নেই। এখানে পুওর বোলিংয়ের তো কিছু নেই।’
শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুই সেশন মিলে বাংলাদেশের বোলাররা ৫৭ ওভার বল করেছেন। কিন্তু একটি উইকেটেরও পতন ঘটাতে পারেননি।
প্রথম দিনে শতক করেছিলেন লিটন দাস, ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। সবার আশা ছিল দ্বিতীয় দিনে নিজের শতক পূর্ণ করবেন মুশি। তবে সেটি আর হয়নি। নার্ভাস নাইনটিতে আউট হন তিনি।
আরও পড়ুন : বিনা উইকেটে ১২৯ থেকে ২৯৬ রানে অলআউট
ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। মুশফিক আউট হয়েছেন ৯১ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন ৩৮ রানে অপরাজিত। মেহেদী বাদে কেউ ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি, যার ফলে ৩৩০ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।
এদিকে, দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তান ওপেনার আবিদ আলি রয়েছেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে, ১৮০ বলে ৯৩ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। অন্য প্রান্তে অভিষিক্ত আবদুল্লাহ শফিক হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। ১৬২ বলে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ রান। বাংলাদেশের হয়ে ৩৯ রান ব্যয় করেছেন টেস্ট স্পেশালিস্ট তাইজুল ইসলাম। ৩৩ রান দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।