জুমবাংলা ডেস্ক : খাওয়ার প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি বসা চাচা ও ভাতিজার দল। দুই দলেরই সদস্য ২০ জন। কারো বয়স ১৮ বছর আবার কারো ৬০ বছর। রাত ৯টা বাজলেই তারা শুরু করেন খিচুড়ি ও গরুর মাংস খাওয়ার ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতা। যে দল বেশি খিচুড়ি ও মাংস খেতে পারবে তারাই হবে জয়ী।
বরিশাল নগরীর ভাটিখানা শরীফ বাড়ির গলিতে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয়দের নিয়ে এ ভিন্নধর্মী আয়োজন করছেন টুলু শরীফ।
তিনি জানান, প্রতিযোগিতায় চাচা ও ভাতিজা মিলে ২০ জনের দু’টি দলের জন্য মোট দুই মণ চালের খিচুড়ি ও ৩০ কেজি গরুর মাংস রান্না করা হয়। নির্ধারিত ৭৫ মিনিটে যে দল বেশি খেতে পারবে তারাই হবে জয়ী।
চাচা-ভাতিজাদের খাওয়ার এ প্রতিযোগিতা দেখতে রীতিমতো সেখানে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যায়, ভাতিজারা খেয়েছেন ৩৮ কেজি চালের খিচুড়ি আর ১৫ কেজি গরু মাংস। আর চাচার দলও সাবাড় করেছেন ১৫ কেজি গরুর মাংস ও ৩২ কেজি চালের খিচুড়ি।
ভাতিজাদের দলকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও দুই দলের সদস্যরা জানান, তারা খিচুড়ি ও গরুর মাংস খাওয়ার প্রতিযোগিতায় আনন্দ উপভোগ করেছেন।
খাওয়ার প্রতিযোগিতা শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বরিশাল সুপার আতিকুল ইসলাম বিজয়ী ও পরাজিত দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।