জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ চলবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার সর্বশেষ রিপোর্টগুলো মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনা করেছে এবং আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে লন্ডনের আরও দু’জন চিকিৎসক ওনাকে দেখবেন।’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) লন্ডনেপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভার, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, প্রেসার, রিউমোটো আর্থরাইটিসের জন্য এখন ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। এর বাইরে আরও যদি কোনো চিকিৎসা করা যায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হসপিটালের মেডিকেল টিমের সদস্যরা এখানে মেডিকেল বোর্ডের সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, যেন এটাকে এক ছাতার নিচে চিকিৎসা যাকে বলে ওয়ান আমব্রেলার নিচে অর্থাৎ ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মতো, সেটা করার ব্যাপারে ওনারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘বেগম জিয়ার সার্বিক অবস্থা, বয়স; গত সাড়ে ৫ বছর বাংলাদেশে বন্দি থাকা অবস্থায়, সুচিকিৎসা কম পাওয়ায়, বাইরে নিতে না পারায় ওনার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যে ধরনের ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখে ওনার জন্য যেটা সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবে সেই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলে আমরা আশা করি। লন্ডন ক্লিনিক সেই ধরনের চিন্তা করছে। সেটা হয়তো আগামী দুই-তিন দিন পরে যখন আবার মেডিকেল বোর্ডের এক্সটেনডেড মেম্বার আছেন, তারাও এ দেশের (লন্ডন) এবং দেশের বাইরের তারা এ ব্যাপারে মতামত দেবেন, পরবর্তী সময়ে সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলবে।’
‘দু-একদিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত’‘দু-একদিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত’
খালেদা জিয়ারর ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, ‘শুধু লন্ডনসহ প্রবাসীরা নয়, বাংলাদেশের মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছেন ম্যাডামের সুস্থতার জন্য। ওনার সুস্থতার জন্য আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। আপনাদের মাধ্যমে ম্যাডামের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া কামনা করছি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাডামের পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ওনার দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, সৈয়দা শর্মিলা রহমান রহমান, তিন নাতনি জাইমা রহমান (তারেক রহমানের মেয়ে), জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান (আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে) সবসময়ই এবং দেশের (লন্ডন) বাইরে যারা আছেন তারা ওভার টেলিফোন সার্বক্ষণিক ম্যাডামের খোঁজখবর নিতে যোগাযোগ রাখছেন।’
খালেদা জিয়া আগের চাইতে অনেকটা ভাল আছেন: ফখরুলখালেদা জিয়া আগের চাইতে অনেকটা ভাল আছেন: ফখরুল
বিএনপির চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। সেখানে সাড়ে সাত বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ হয়।
এর আগে ৭ জানুয়ারি ঢাকায় খালেদা জিয়াকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানসহ বিমানবন্দরের পথে রাস্তার দুপাশে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ জড়ো হন। ওইদিন এয়ার অ্যাবুলেন্সে করে তাকে নেয়া হয় লন্ডনে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসার ধাপ নির্ধারণখালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসার ধাপ নির্ধারণ
ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যান মেডিকেল বোর্ডের ছয়জন সদস্য। তারা হলেন-অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।