জুমবাংলা ডেস্ক : উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা পেছাচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষদিকে তার যাওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। জানুয়ারির প্রথমার্ধে তিনি লন্ডন যাচ্ছেন বলে সর্বশেষ জানিয়েছেন তার চিকিৎসক দলের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
গতকাল বুধবার তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে ইনশাআল্লাহ জানুয়ারির প্রথমার্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ইউকে (যুক্তরাজ্য) নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদিও নির্দিষ্ট তারিখ এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। যথাসময়ে সেটি (নির্ধারিত তারিখ) সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এবিএম আব্দুস সাত্তার কালবেলাকে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) যুক্তরাজ্য যাওয়ার দিন এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে আমরা ৭ জানুয়ারি ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য যাওয়ার বিষয়টি কয়েকদিন পেছাতেও পারে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে খালেদা জিয়া ২৯ ডিসেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
গতকাল ডা. জাহিদ জানান, মেডিকেলের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি বিমানে খালেদা জিয়া লন্ডন যাবেন। তার সঙ্গে চিকিৎসকের একটি টিম, পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারাও যাবেন। খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডনে যাবেন তার ছেলে তারেক রহমানের কাছে। সেখানে কয়েকদিন অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র যাবেন লিভার জটিলতার চিকিৎসার জন্য।
চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের পূর্ব বাল্টিমোরে বিশ্বখ্যাত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২৩ সালের আগস্টে এই হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডস, অধ্যাপক জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও অধ্যাপক আবদুল হামিদ আহমেদ আব্দুর রব ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেন। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভারের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার করেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের নানা জটিলতা রয়েছে তার। ২০০২ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার হৃদযন্ত্রের তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।