জুমবাংলা ডেস্ক : তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ শেষ। সেতু খুলে দিতে এখন চলছে অ্যাপ্রোচ সড়ক ও খুঁটিনাটি কাজ। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে পদ্মা সেতুর দূরত্ব কমবে ৯ কিলোমিটার। পাশাপাশি কমবে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের যানজটও।
নদীতে চারটিসহ ৩৮টি খুঁটির ওপর শীতলক্ষ্যা-৩ সেতু। সরাসরি কংক্রিটের ঢালাইয়ে তৈরি ৪০০ মিটার মূল সেতুর দু’পাশে ৮৩৪ দশমিক ৫০ মিটার সংযোগ সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ শেষ। চলছে এখন আলংকারিক খুঁটিনাটি কাজের পাশাপাশি অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ।
নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই সেতু মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে শ্রীনগরের ছনবাড়ি পয়েন্টে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যুক্ত করবে। এতে কাঁচপুর, সাইনবোর্ডসহ রাজধানীর যানজটও কমবে।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব চান মেয়র আতিক
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চিটাগাং বা সিলেট থেকে যে গাড়িগুলো খুলনা বা বরিশাল, দক্ষিণাঞ্চলে যাবে সে গাড়িগুলোকে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকতে হবে না। তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু হয়ে তারা ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জকে বাইপাস করে সরাসরি পদ্মা ব্রিজে গিয়ে উঠবে।
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক মেজবা উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রজেক্টের কিছু জটিলতা আছে, আর্থিক সমস্যা আছে। এই সমস্যার কারণে দ্রুতগতিতে আমরা কাজটা শেষ করতে পারি নাই। জুনের মধ্যেই উদ্বোধনের টার্গেট রয়েছে।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে মেক্সিকোতে চালু হলো `ক্যাবল কার`
পদ্মা সেতু ঘিরে নির্মাণ করা এই সেতু দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বাইপাস।
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু প্রকল্পের ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার মো. ওসমান গনি বলেন, ল্যাবে আমরা এটা টেস্ট করি। প্রত্যেকটি কোয়ালিটি যদি ল্যাবে টিকে তাহলে সেভাবে আমরা কোয়ালিটি ঠিক করি এবং সেইভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি যাতে ১০০ বছর এটা টেকসই হয়।
সেতুর দুই পাশের রেলিংয়ের ঘেঁষে রয়েছে ফুটপাত। পায়ে হেঁটেও পাড়ি দেওয়া যাবে এই সেতু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।