জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএএম মোর্শেদকে পাবনা মানসিক হাপাতালের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (পার-২ অধিশাখা) উপ-সচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।
তবে, আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করলে তিনি তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ডরিলিজ মর্মে গণ্য হবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি মাসের ১২ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক আদেশে ডা. মোর্শেদকে খুমেক হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। ২০ মার্চের মধ্যে সেখানে তার যোগদানের নির্দেশনা থাকলেও তিনি যোগদান থেকে বিরত থাকেন।
উল্লেখ্য, ডা. এটিএমএম মোর্শেদসহ কয়েকজন চিকিৎসক ও এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮টি হেভিযন্ত্র, ১০টি এয়ারকুলার এবং ২টি অটোক্লেভ মেশিন ক্রয় এবং একই মেশিন বারবার নষ্ট দেখিয়ে ২২ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এই দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত অন্যরা হলেন— খুমেক হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (এ্যানেসথেশিয়া) ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন, ইএমটি ডা. শাহিন হোসেন ও ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম।
এ দুর্নীতির তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে নিয়োগ করা হলেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। যে কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ১৬ মার্চ অপর এক পত্রে বিষয়টি তদন্তের জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএমএম মোর্শেদকে সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।