আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চাকরি করা অনেকের কাছেই একঘেঁয়ে কিংবা বিরক্তিকর। কারও জন্য আবার কষ্টকরও। কিন্তু যদি চাকরিটা এমন হয়, পেট ভরে খাওয়ার জন্য অর্থ পাওয়া যাবে তাহলে কেমন হবে? ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনই এক কাজ বেছে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ফ্যাবিও ম্যাটিসন নামের এক তরুনী।
২৮ বছর বয়সী ইউটিউবার ফ্যাবিও নিজের খাওয়া নিয়ে ২০১৮ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত ২০০ ভিডিও পোস্ট করেছেন। বার্গার থেকে চকোলেট কেক, এমনকী তার চিপস খাওয়ার দৃশ্যও হাজারবার দেখেছেন দর্শকরা। সেই সঙ্গে এ ইন্টারনেট ট্রেন্ডের মাধ্যমে নিজের এক যুগ পুরানো খাওয়ার রোগও নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
জানা গেছে, ২০১০ সালে কোরিয়ার মুকব্যাং খাবার খেয়ে প্রথম ইউটিউবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন । তারপর থেকেই ইউটিউবে এ ট্রেন্ড শুরু হয়। ‘মুকব্যাং ক্রেজ’ অনুসরণ করে ফ্যাবিও নিজের খাওয়ার ভিডিও পোস্ট দিতে শুরু করেন ২০১৮ সালে।
ফ্যাবিও জানান, দীর্ঘদিন তিনি অন্যের সামনে খাবার খেতে পারতেন না। কিন্তু এ ভিডিও পোস্ট করে সকলের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার ফলে তার সেই সমস্যা দূর হয়েছে। ফ্যাবিও বলেন, ‘হাজার হাজার লোক অনলাইনে আমার খাবার খাওয়া দেখছে । এতে আমি খাবারটাও বেশ উপভোগ করে খাচ্ছি।’
তিনি জানান. ১৯ বছর বয়স থেকেই খাওয়া নিয়ে তিনি সমস্যায় ভূগছিলেন। সবসময়ই তিনি ওজন বাড়ার শঙ্কায় থাকতেন। এ কারণে অন্যের সামনে খেতে গেলেও তার অস্বস্তি হতো।
ফ্যাবিও বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল যে ঘরের মধ্যেই স্টোভে রান্না করে খেয়ে নিতাম। রান্নাঘরেও যেতাম না।’ তিনি জানান, মুকব্যাং-এর ভিডিও দেখে তিনি উৎসাহিত হন। নিজেও খাবার খেয়ে ভিডিও তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
ইউটিউবে ফ্যাবিওর এখন ৮ হাজারেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এখন তিনি নিজের খাবার খাওয়ার ভিডিও আপলোড করে রোজগার করেন। নিজের কাজকে তিনি ‘হোম থেরাপি’ নাম দিয়েছেন।
ফ্যাবিও বলেন, ‘ খাবার খাওয়া নিয়ে উদ্বেগে ভোগা অনেকেই আমাকে মেসেজ করেন। অনেকেই জানিয়েছেন, আমার ভিডিও দেখে তাদের উদ্বেগ কমেছে। তাদের এসব কথা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।’ সূত্র : এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।