আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জমায়েতের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর অভিযোগে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ নেতা মাওলানা সাদ কান্দলভি ও নিজামুদ্দিন মারকাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে বিতর্কিত ধর্মগুরু মাওলানা সাদের খোঁজ পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির জাকির নগর এলাকায় তার হদিস মিলেছে। তাকে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকায় এই মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ হলেই জেরা করা হবে।
মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করার অভিযোগ রয়েছে। সাবধান করা সত্ত্বেও তিনি নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতের সমাবেশ চালিয়ে যান বলে অভিযোগ। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ওই ধর্মীয় সমাবেশ ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। মাওলানা সাদ-সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সরকারি আদেশ অমান্য করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
এর আগে দিল্লি পুলিশকে মাওলানা সাদ জানিয়েছিলেন, তিনি সেলফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তবে তিনি কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। অবশেষে তবে তার হদিস পেয়েছে পুলিশ। এর আগে দিল্লি পুলিশ তাকে দুবার নোটিস পাঠিয়ে তলব করে। কিন্তু দেখা করেননি সাদ। আর করোনা আতঙ্কে তার কাছেও যেতে পারেনি পুলিশ কর্মকর্তারা। কারণ এর আগে, নিজামুদ্দিন মারকাজে তদন্তের কাজে যাওয়া ১২ জনেরও বেশি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও পুলিশকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাওলানা সাদকে জেরার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে তাকে নোটিস পাঠিয়ে মোট ২৬টি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সেইসময় সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকার কারণে বেশিরভাগ প্রশ্নেরই উত্তর দেননি সাদ। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।