জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ৩০ বছর পার হলেও সে সময়ের নির্মান কাজে ব্যবহারীত যানবাহন ও যন্ত্রাংশ আজ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ মেরামতের উদ্দ্যোগ না নেওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় খোলা আকাশের নিচে ও গোডাউনে পরে আছে কয়েক কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রাংশ।
জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী নামক এলাকায় তিস্তা নদীর উপর ৫৬টি কপাট বিশিষ্ট নির্মিত তিস্তা ব্যারাজ। ব্যারাজের নির্মাণ কাজ শুর হয় ১৯৭৯ সালে এবং শেষ হয় ১৯৯০ সালে । এ প্রকল্পে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করা হয়।
সরেজমিনে বুধবার গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ব্যরাজের কাজ শেষে দোয়ানী গোডাউনে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে ট্রাক, বেকার, ওয়াগন, ঢালাই মেশিন, সহ কয়েক কোটি টাকার দামী যানবাহন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। অযত্ন আর অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকায় বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার জিনিস ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়।
কর্তৃপক্ষ এসব দামী যানবাহন ও যন্ত্রাংশ মেরামতের উদ্দ্যোগ না নেওয়ায়, ব্যবহার ও চলাচল যোগ্য যানবাহন, যন্ত্রাংশগুলো রোদ পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট এবং চুরি হয়ে যাচ্ছে। গোডাউনে পরে থাকা জিনিসগুলো জং ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এ সকল গাড়ী সচল থাকলে দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা যেত। দক্ষ জনবল না থাকায় তা ব্যবহার হচ্ছেনা এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী আসফুদ্দৌলা বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। কমিটি’র রিপোর্ট পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।