নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলে কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে মসজিদের ইমামের মৃত্যুর ছয় দিন পর অর্ধশত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এর আগে ইমামকে নির্দোষ দাবি করে ঘটনার পরদিন ২৮ এপ্রিল পুবাইল থানায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামি করা হয়। সেই অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
নিহত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫)। তিনি চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানাধীন হায়দরাবাদ এলাকায় আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। রহিজ গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় ভাড়াবাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর পুলিশের পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, মামলায় নাম উল্লেখ ১৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, রহিজ উদ্দিন চার মাস ধরে ওই মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম দুই মাস বাড়িতে থেকে মসজিদে যাতায়াত করতেন। পরে কমিটির লোকজন তাঁকে মসজিদের তিনতলায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। জুমার বয়ান নিয়ে হায়দরাবাদ এলাকার দুই পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধীপক্ষ ইমামকে মসজিদ থেকে বিতাড়নের চেষ্টা করত। বিবাদীদের মধ্যে একজনের সন্তানকে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
পুবাইল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ইমাম রহিজ উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তাধীন। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মামলা গ্রহণ করেছি এবং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে।’
গাজীপুরে সাবেক স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।