জুমবাংলা ডেস্ক : গণমাধ্যমে কথা বলাকে কেন্দ্র করে চার চালককে বরখাস্তের পর তাদের বিষয়ে তদন্ত চালিয়েছেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান এহসান-ই এলাহী। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চার চালককে ডিপোতে ডেকে গণমাধ্যমে কথা বলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কেন তারা গণমাধ্যমে কথা বলেছে এসব বিষয় জানতে চান বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা।
বিআরটিসির যে কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগে এক বছর আগে নতুন চেয়ারম্যান আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মকর্তাকে দিয়েই জোয়ারসাহারা ডিপোতে চার চালকে জ্ঞিাসাসাবাদ করানো হয়।
গণমাধ্যমে কথা বলায় ৪ চালককে বরখাস্ত করলেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান
জোয়ারসাহারা ডিপোর একজন কমকর্তা জানান, বিআরটিসি প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম (পিএন্ডএস) মনিরুজ্জামান বাবু গণমাধ্যমে কথা বলার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া চার চালকের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় গণমাধ্যমে কথা বলার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মনিরুজ্জামান বাবু আরও জানান, চালকদের কাছে কী কী জানতে চাওয়া হয়েছে সেটা তিনি ফোনে বলতে চান না। এজন্য অফিসে যেতে অথবা বিআরটিসি চেয়ারম্যানকে ফোন দিতে হবে।
জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর আট মাসের বেতন বকেয়া বেতন নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলায় চার চালককে বরখাস্ত করেন চেয়ারম্যান। বরখাস্তের নোটিশে গণামধ্যমে কথা বলার বিষয়টি উল্লেখ করেই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেন চেয়ারম্যান।
বরখাস্ত হওয়া চার চালক হলেন, আবুল কালাম, মো. মকবুল আহমদ, মো. মিজানুর রহমান ও আল আমিন হাওয়ালাদার।
গণমাধ্যমে কথা বললে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার এমন ঘটনা বিআরটিসির ইতিহাসে নজিরবিহীন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে যে কেউ কথা বলতে পারে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।