জুমবাংলা ডেস্ক: দুই সপ্তাহ শেষ না হতেই টেকনাফের সেন্ট মার্টিনে সেই আবদুল গণির জালে আবারও ধরা পড়েছে কালো পোয়া মাছ। ২৩ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের মাছটি স্থানীয় নুর আহমেদ সওদাগরের কাছে ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
গত ৮ নভেম্বর সকালে তার জালে ধরা পড়ে দুটি বড় পোয়া মাছ। পরে মাছ দুটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনে নেন কক্সবাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী ইশরাক সওদাগর।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৮টায় সেন্ট মার্টিন পশ্চিম সাগরের নয় বাম শিল এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে। এর আগে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জাল ফেলেন গণি।
আবদুল গণি বলেন, ‘এবারও মাছটিও মেয়েলি গঠনের। পুরুষালি ভেবে দাম বলেছিলাম ৩ লাখ টাকা। পরে ব্যবসায়ীসহ নিজে যাচাই করে জানলাম মাছটি মেয়েলি। তাই ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অন্য মাছের জাল ব্যবহার করি না। আমি শুধু কুরাল-পোয়া মাছের জাল ব্যবহার করি। আল্লাহ্ আমাকে দয়া করে মাছগুলো আমার জালে দেন, তার জন্য শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি।’
আবদুল গণি সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তার জালে ধরা পড়ে ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ। সেই মাছটি তিনি বিক্রি করেন ১০ লাখ টাকায়। দুই বছর পর ২০২০ সালের নভেম্বরে গণির জালে আরও একটি পোয়া মাছ ধরা পড়ে। সেটিও তিন বিক্রি করেন ৬ লাখ টাকায়। ঠিক এর ২ বছর পর ২০২২ সালের ৮ নভেম্বরে জোড়া পোয়া মাছ ধরেন তিনি। দুই সপ্তাহ পার না হতে আবারও তার জালে ধরা পড়ে কালো পোয়া।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বড় পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট বা সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটি বেশি দামে ক্রয়-বিক্রয় হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।