কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় শি’শু মাহিনের মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে সোমবারও শোকের মাতম চলছিল। সবার মুখে একই আলোচনা চঞ্চল-উচ্ছ্বাস-প্রাণবন্ত শিশুটি চলে গেলে। সারা মহল্লা দাপিয়ে বেড়ানো শিশুটির অনুপস্থিততে নগুয়া এলাকা যেন নিথর শহরের মেধাবী ছাত্রদের স্কুল হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল মাহিন। সে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর গ্রামে।
জানা গেছে, মাহিনের বাবা বর্তমানে টাঙ্গাইলে প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী’কে নিয়ে তিনি চার-পাঁচ বছর ধরে নগুয়ায় একটি বাসার তিনতলায় বসবাস করেন। ওইদিন বিকেলে পাঁচতলার ছাদে উঠে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে অসাবধানতাবশত মাহিন নিচে পড়ে যায়। এলাকার লোকজন তাকে দ্রুত কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃ’ত ঘোষণা করেন।
মাহিনের মৃত্যুর ঘণ্টাখানেক পর সন্ধ্যায় জহিরুল ইস’লাম একটি ফ্যামিলি ছবি দিয়ে ছোট্ট একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে জহিরুল ইসলাম লিখেন, ‘গতরাতের ছবি, আজকে রাতে সে থাকবে কবরে। ছেলের লাশ বহন করার মত সৌভাগ্যবান বাবা আমি।’
বাবার মনের এই কষ্টগাঁথা আর আর্তনাদ ছুঁয়ে যায় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের। তাদের শোক আর সহম’র্মিতায় ফেসবুকের পাতা আজ যেন এক শোকবই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।