জুমবাংলা ডেস্ক : পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীকে অজ্ঞান করে লিঙ্গ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার (৯ মে) রাতে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তির নাম হারুনুর রশিদ। তিনি বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ব্যক্তি গণমাধ্যমকে জানান, তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩৮) এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীকে নিষেধ করার পরেও পুনরায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার কারণে স্ত্রীর ফোনটি কেড়ে নেন তিনি। সেই ঘটনার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এমন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাতে স্ত্রী ফরিদা বেগম তাকে একাধিকবার রাতের খাবার (পোলাও) খেতে অনুরোধ করেন এবং এক পর্যায়ে বাধ্য করে পোলাও খাইয়ে দেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার লিঙ্গ কেটে স্ত্রী পালিয়ে যান। পরে রাতে তাকে ধামইরহাট হাসপাতালে নিয়ে এলে আংশিক কেটে যাওয়া লিঙ্গে একাধিক সেলাই দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় আহতের ভাই হাফেজ উদ্দিন বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানান আহত হারুনুর রশিদ। ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।