যুক্তরাজ্যে একটি গবেষণায় ডায়েট এবং গর্ভধারণের সময় নারীর এবং পুরুষের প্রজনন ক্ষেত্রের বিকাশের জন্য যে সকল খাবার গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আয়োডিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও তা অনেকেই অবহেলা করে থাকে। এটি মায়ের থাইরয়েড এর জটিলতা অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গবেষণা অনুযায়ী প্রতিদিন ৪০০ গ্রাম ফলিক এসিড গ্রহণ করা প্রয়োজন। ফলিক এসিড গ্রহণ করলে ভ্রুণের মেরুদন্ড গঠনের জটিলতা দূর হয়। এটি নারীদের গর্ভ ধারণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সবুজ শাকসবজির মধ্যে ফলিক এসিড থাকতে পারে।
ডিম্বাণুর মান বৃদ্ধি করার জন্য প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এগুলোর প্রাধান্য থাকতে হবে। খিচুড়ি, সিমের বিচি, ডাল খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। বেশি পরিমাণ আয়রন সমৃদ্ধ খাবার মেনুতে রাখতে হবে।
বর্তমানে অনেক মায়েদের মধ্যে রক্তশূন্যতার সমস্যা রয়েছে। এর পুরাতন কারণ হচ্ছে আয়রনের অভাব। ভ্রুণের দেহ তৈরি হয় রক্ত থেকে। কাজেই রক্তশূন্যতার অভাব থাকা যাবে না। তাছাড়া খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখা যেতে পারে।
খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি যেন থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ভিটামিন বি টুয়েলভ রয়েছে এরকম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। কলিজা, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি টুয়েলভ থাকে।
লাল চালের ভাত খাওয়া, লাল আটার রুটি খাওয়া ইত্যাদি অভ্যাস করতে হবে। খাবারের শাকসবজির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। এটি রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। দিনে অন্তত দশ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন ডি যেন দেহে প্রবেশ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
পুরুষদের শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ভিটামিন ই রয়েছে এরকম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সবুজ শাকসবজি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। এরপরও আপনি এসব নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় থাকলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।