জুমবাংলা ডেস্ক: ‘টানা ২০ বছর ধরে গাঁ*জা খেয়ে আসছি। গাঁ*জার নেশার কারণে ভিটে-মাটি, আত্মীয়-স্বজন সব হারিয়েছি। কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। শুনেছি গাঁ*জা খেলে নাকি রাজা হয়, কিন্তু আমি তো ফকির হয়ে গেছি।’
গাঁ*জা সেবনের দায়ে আটক ও ৩ মাসের কারাদণ্ড পাওয়া গৈজদ্দিন সরদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি এসব কথাগুলো বলেন।তিনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ময়ছের মাতব্বর পাড়ার মৃ*ত আলাউদ্দিন সরদারের ছেলে।
রোববার বিকাল ৫টার দিকে তাকে পৌরসভার কাজীপাড়া থেকে গাঁ*জা সেবনকালে আ*টক করা হয়।এ সময় তার দীর্ঘদিনের সেবন সঙ্গী শহিদুল ইসলাম (৫২) নামে অপর একজনকেও আ*টক করা হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আমার ভালোভাবে কাজকর্ম করে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল। কিন্তু গাঁ*জার নে*শার কারণে তা হয়নি। এখন ঠিক মতো কোনো কাজকর্মও করতে পারি না। স্ত্রী মা*রা গেছে কয়েক বছর হলো। ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ওরা ওদের মতো আছে।
তিনি বলেন, নিজের ভিটের ৫ শতাংশ জমি আরও কয়েক বছর আগে ছোট ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। বর্তমানে যেখানে রাত, সেখানেই কাত। জমি বিক্রির টাকার বেশিরভাগই গাঁ*জার পেছনে গেছে।
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অতি সাধারণ গাঁ*জাসেবী। যারা ভিআইপি গাঁ*জাসেবী ওনারা গোয়ালন্দ রেল স্টেশনের পেছনে গাঁ*জা সেবনের বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। ওখানে আমার মতো সাধারণরা যেতে পারে না।
গৈজদ্দিন ও সহিদুল ইসলাম ছাড়াও ওই দিন দৌলতদিয়া পোড়াভিটার করিমের বাড়ি থেকে গাঁ*জা সেবনকালে আরও ৪ জনকে আ*টক করা হয়। এরা হলেন- কুদ্দুস ফকির (৪০), হালিম মোল্লা (৩৫), রিয়াদ সিকদার (৩৩) ও শফিকুল ইসলাম (৪০)।
আ*টক ৬ জনকেই ৩ মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাজবাড়ীর মা*দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দলকে নিয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আ*টক ৬ গাঁ*জাসেবীকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আট*ককালে গৈজদ্দিন ও সহিদুলের কাছ থেকে ১২ পুড়িয়া গাঁ*জা ও গাঁ*জা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।