নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে এক নারীর লাগামহীন মামলা ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে খোঁজেখানী গ্রামের সাধারণ মানুষ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অর্ধশতাধিক গ্রামের বাসিন্দার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর বিরুদ্ধে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধেও শ্লীলতাহানি বা নারী নির্যাতনের মামলা ঠুকে দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত নারী রাবিয়া ইয়াসমিন (২৫), উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাবিয়া ইয়াসমিন বিগত কয়েক বছরে গ্রামের অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে নানান অজুহাতে মামলা দায়ের করেছেন। জমি-বিবাদ, পারিবারিক কলহ কিংবা সামান্য কথাকাটাকাটির জেরেই তিনি দা হাতে নিয়ে তেড়ে আসেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে সঙ্গে সঙ্গে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করেন তিনি। এতে ভয়ে অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ভুক্তভোগী মো. শামসুল হক বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দিয়েছে। যে তার অপকর্মের প্রতিবাদ করে, তাকেই মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার ভয়ে আমরা মুখ খুলতে পারি না। এলাকার অন্তত ৫০ জন মানুষ তার মামলার শিকার।”
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, “তার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে গেলেই বিপদ। জমির বিরোধ নিয়ে রামদা হাতে ধাওয়া করে। তার বিরুদ্ধে কিছু বললে পরদিনই থানায় মামলা পড়ে যায়।”
ভুক্তভোগী নূরুল ইসলাম, যিনি রাবিয়া ইয়াসমিনের আত্মীয়, বলেন, “তার ফুফুকে আমি বিয়ে করেছি। কিন্তু এই নারীর অত্যাচারে আজ আমি অতিষ্ঠ। আমার বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর, অথচ আমাকেও শ্লীলতাহানির মামলায় জড়িয়েছে সে।”
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন,“নারীটির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্তে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি নানা অজুহাতে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
স্থানীয়দের দাবি—রাবিয়া ইয়াসমিনের এমন “মামলা সন্ত্রাস” বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, না হলে গ্রামের সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।